বকেয়া পরিশোধের সিদ্ধান্তের পর পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলন স্থগিত
বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের নয় দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে কর্মসূচি স্থগিতের বিষয়টি জানান শ্রমিক নেতারা।
গতকাল শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, বিজেএমসির চেয়ারম্যান এবং পাটকল শ্রমিকলীগসহ সারা দেশের সিবিএ-ননসিবিএ নেতাদের এক সমঝোতা সভার পর কর্মবিরতি স্থগিত করার ঘোষণা দেয় শ্রমিক নেতারা।
সমঝোতা সভায় আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে ১০ সপ্তাহের বকেয়া মজুরী এবং তিন মাসের মধ্যে সকল বকেয়া বেতন পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাছাড়া, ১৮ মে থেকে নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী শ্রমিকদের পে-স্লিপ ইস্যু হবে। অন্যান্য দাবিগুলো নিয়ে বিজেএমসিতে ৮ মে আলোচনা হবে।
এদিকে, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ নাছিম গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, পাট শ্রমিকদের জাতীয় মজুরি স্কেল-২০১৫, আগামী অর্থবছর অর্থাৎ, ২০১৯-২০ অর্থবছরেই কার্যকর করা হবে।
তিনি বলেছেন, 'চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্ধ অনুযায়ী মূলত ভর্তুকি ও ঋণ বরাদ্দ দিতে পারে বিজেএমসি। আগামী অর্থবছরের নতুন যে বেতন স্কেল আসবে সে আনুযায়ী শ্রমিকদের বকেয়াসহ বেতন পরিশোধ করা হবে।'
এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ ও পাটকল শ্রমিক লীগের আহবানে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা তাদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গতকাল সকাল থেকে ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘট এবং প্রতিদিন চারঘণ্টা করে সড়ক-রেলপথ অবরোধ শুরু করে।
একই দাবিতে এর আগেও দু’দফা পাটকলের উৎপাদন বন্ধ এবং সড়ক-রেলপথে অবরোধ করে আন্দোলন করেছিল পাট শ্রমিকরা।
বিজেএমসির কর্তৃপক্ষ জানায়, কেবল খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের শ্রমিকদের ৪২ কোটি টাকার মজুরি এবং কর্মচারী-কর্মকর্তাদের আরো ১০ কোটি টাকার বেতন বকেয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১৬