বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধি, আতঙ্ক সৃষ্টি
(last modified Fri, 26 Jul 2019 13:17:05 GMT )
জুলাই ২৬, ২০১৯ ১৯:১৭ Asia/Dhaka
  • গাইবান্ধা সদরের রিফায়েতপুর এলাকায় রেললাইনে পানি
    গাইবান্ধা সদরের রিফায়েতপুর এলাকায় রেললাইনে পানি

আকস্মিকভাবে আবারও পানি বেড়েছে বাংলাদেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে। এতে উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে। বেড়েছে তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। যমুনা নদীর পানি বেড়ে গিয়ে প্লাবিত হয়েছে জামালপুরের নতুন নতুন এলাকা। বিভিন্ন এলাকায় চলছে সরকারি বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা। তবে নতুন করে পানি আর বাড়বে না বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের (শুক্রবার) সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশের ৯৩টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৩৬টি পয়েন্টে পানি বেড়েছে। যার মধ্যে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১৯টি পয়েন্টে। আগের দিনের চেয়ে পানি বেড়েছে ৯টি পয়েন্টে।

আকস্মিক পানি বৃদ্ধি চলতি বন্যারই প্রভাব, নতুন করে আর পানি বাড়বে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া। তিনি জানান, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল এবং ভারতের আসাম ও মেঘালয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দেয়। নতুন করে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি আজ থেকে কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে আগস্টে আর একটি বন্যার পূর্বাভাস আছে বলেও জানান তিনি।

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি আবারও বাড়ছে। শুক্রবার সকাল নয়টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা আগের তুলনায় ৯ সেন্টিমিটার বেশি। সিরাজগঞ্জের অন্যান্য পয়েন্টেও পানি নতুন করে বাড়ছে। এতে দ্বিতীয় দফা বন্যার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নিম্নাঞ্চলের বানভাসী মানুষ।

গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার এবং  ঘাঘট নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গো-খাদ্যের সংকট। ছড়াচ্ছে নানা পানিবাহিত রোগ। বন্যায় কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীর বিভিন্ন এলাকায় ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। রোপা আমনের বীজতলা, আউশ, পাট, মরিচ, কলা, আখ ও ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের কর্মজীবী মানুষ।

যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় জামালপুরের নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। আর টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে।#

 

পার্সটুডে/শামস মণ্ডল/আশরাফুর রহমান/২৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ