সোমবার পবিত্র ঈদ-উল আজহা: সব পথে বিড়ম্বনা নিয়েই ছুটছেন যাত্রীরা
(last modified Sat, 10 Aug 2019 12:04:47 GMT )
আগস্ট ১০, ২০১৯ ১৮:০৪ Asia/Dhaka
  • সোমবার পবিত্র ঈদ-উল আজহা: সব পথে বিড়ম্বনা নিয়েই ছুটছেন যাত্রীরা

আর মাত্র দু’দিন পর সোমবারে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদ-উল আজহা। পরিবার পরিজনদের সাথে এ উৎসব পালন করার জন্য পথে পথে নেমেছে মানুষের ঢল। সড়ক, রেল ও নৌপথে নানা বিড়ম্বনা আর ভোগান্তি মাথায় নিয়ে মানুষ ছুটছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।

এ অবস্থায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ বলেছেন, মহাসড়কে গাড়ির গতি ধীর হলেও রাস্তায় যানজট নেই।

আজ (শনিবার) সকালে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে এসে ওবায়দুল কাদের বলেন, "বেহাল রাস্তার জন্য কোথাও যানজট রয়েছে বলে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। আর মানুষ এরকম যাত্রাকে ভেগান্তি  না বলে  ঈদযাত্রার আনন্দ হিসেবেই নিচ্ছেন।"

সড়েক পথে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম এ সিলেটের পথে তেমন বিলম্ব বা যানজট না থাকলেও উত্তবঙ্গের পথে যমুনা সেতুর উভয় পাড়ে গাড়ী চলছে ধীরগতিতে। কাংখিত সময়ের চেয়ে পাঁচ-ছ’ ঘন্টা বিলম্বে বাস পাওয়া যাচ্ছে।  গতরাত থেকে আজ  (শনিবার) দুপু পযন বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের উত্তরবঙ্গমুখী লেনে অন্তত ২২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। কখনো থেমে থেমে যানজট আবার কখনো কচ্ছপ গতিতে চলছে গাড়ি। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেন স্বাভাবিক রয়েছে।ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেও বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে পাকুল্লা পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে খণ্ড খণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

তাছাড়া পদ্মা নদী পারাপারে মাওয়া -কাঁঠালবাড়ি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরী ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন থাকায় ভেগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রী সাধারণ। তবে, স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক পথে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা খু্বই কম।  ওদিকে,  ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়  সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে বলে স্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষ।

আজ দুপুর পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ছে ট্রেন। তবে, বিলম্বের কারণে কেই যাত্রা স্থগিত করতে চাইলে তাদের টিকিট ফেরত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ সচিব মোফাজ্জল হোসেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেনের এই সিডিউল বিপর্যয় শুরু হয় মূলত গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে। ঢাকা থেকে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশে লাইনচ্যুত হলে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই দুর্ঘটনা সূচি বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে যেসব ট্রেন যায়, তার সবগুলোই কম বেশি বিলম্বিত হচ্ছে।

নৌপথে দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় নিয়ে লঞ্চগুলি গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে এবং যাত্রী নিয়ে দরঘাট টার্মিনালে পৌছে যাচ্ছে অনেকটা নির্বিঘ্নেই। তবে লঞ্চে আসন পাওয়া নিয়ে হতাশা থাকলেও ঈদ করতে বাড়ী যাচ্ছেন এতেই পরিবার পরিজন নিয়ে খুশী অপেক্ষমান যাত্রীরা।# 

পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান /বাবুল আখতার/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। 

 

 

 

 

ট্যাগ