আবরার হত্যার দিনকে ‘শহীদ দিবস’ পালনের আহ্বান ব্যারিস্টার মওদুদের
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশে গত ১০ বছরে ছাত্রলীগ-যুবলীগের তাণ্ডবলীলা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাদের তাণ্ডবলীলা দেখলে মনে হয়, দেশে সত্যিকার অর্থে কোনও সরকার নেই।
আজ (শুক্রবার) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে যেদিন হত্যা করা হয়েছে, সেই দিনটিকে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালনের আহ্বান জানিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, আবরার হত্যার বিচার, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ রাজপথ। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে হটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সঠিক চিকিৎসা দাবি করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার এক বছর দুই মাস দাবি করার পর, তাকে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অথচ যুবলীগের সম্রাট কারাগারে যাওয়ার দু’দিন পরই তাকে ভিআইপি মর্যাদায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, তারপরও তাকে সঠিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। এতেই বোঝা যায় দেশে দ্বৈতনীতি চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গেলে আমরা ভেবেছিলাম অন্তত তিস্তা নদীর পানির ব্যাপারে সমঝোতার খবর নিয়ে আসবেন। ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পরও সেটা হয়নি। উল্টো ভারতকে ফেনী নদীর পানি দিয়ে এলেন। অথচ কোনও জাতীয় স্বার্থ পূরণ করেননি। এরপরও তিনি কীভাবে বলেন, তারা জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দেয়নিনি। দেশের মানুষ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
'শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টর্চার সেল গড়ে তুলেছে ছাত্রলীগ'
এদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর হল ও হোস্টেলগুলোতে বুকসেলফের পরিবর্তে টর্চার সেল গড়ে তুলেছে ছাত্রলীগ। প্রতিবাদী ছাত্রসমাজ স্ফুলিঙ্গের মতো জেগে উঠেছে। ছাত্রসমাজ এসব অনাচার আর মেনে নেবে না। সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে।
আজ (শুক্রবার) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন নয় বলে প্রধানমন্ত্রী দায় এড়াতে চেয়েছেন। তাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে এটা লেখা থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। বিপদে পড়লেই জনগণকে ধোকা দিতে এ কথা বলা হয়। এ সময়, ছাত্রলীগের শোক র্যালিকে লোক দেখানো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।#
পার্সটুডে/শামস মণ্ডল/আশরাফুর রহমান/১১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।