বুয়েটে শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি, আন্দোলন শিথিল
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ (শনিবার) দুপুরে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। যেসব দাবি মেনে নেয়া হয়েছে, সেগুলো হলো: হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে সাময়িক বহিষ্কার করা হবে এবং পরে অভিযোগপত্রে যাঁদের নাম আসবে, তাঁদের স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে; আবরার হত্যা মামলার সব খরচ বুয়েট প্রশাসন বহন করবে ও তাঁর পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে বুয়েট প্রশাসন বাধ্য থাকবে; বুয়েটে সব রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ; বুয়েটে র্যাগের নামে নির্যাতনের ঘটনাসংক্রান্ত অভিযোগ প্রকাশের জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা ও অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি এবং সব হলের দুই পাশে প্রতি ফ্লোরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা।
এদিকে, পাঁচ দফা দাবি মেনে নেয়ার পর বুয়েটে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে দুইদিনের জন্য আন্দোলন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুরে বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এক মুখপাত্র বলেন, বুয়েট প্রশাসন ইতিমধ্যে আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবি মেনে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এটা আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয়। এ কারণে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর চলমান আন্দোলন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁরা আশা করেন, এই সময়ের মধ্যে সব দাবি মানার সিদ্ধান্ত দৃশ্যমান করবে বুয়েট প্রশাসন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ১৪ অক্টোবর বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হোক, সেটা আমরা চাই। পরীক্ষা বানচালের দায় আমরা নিতে চাই না।
এর সঙ্গে তাঁরা যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা আছে। ভিসি স্যারকেও ধন্যবাদ। দাবি বাস্তবায়ন শুরু হওয়ায় আন্দোলন আপাতত শিথিল। পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত।
৬ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।