ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত কাউন্সিলর সাঈদকে ডিএসসিসি থেকে অপসারণ
(last modified Thu, 17 Oct 2019 19:28:33 GMT )
অক্টোবর ১৮, ২০১৯ ০১:২৮ Asia/Dhaka
  • এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ
    এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ

ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদকে তার পদ থেকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সভায় নিয়মিত উপস্থিত না থাকার কারণ দেখিয়ে তাকে অপসারণ করা হয়।  

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে আজ (বৃহস্পতিবার) এই নির্দেশ দেয়া হয়। আদেশে উল্লেখ করা হয়, "আপনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। অভিযোগ পাওয়া গেছে, যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখানো ছাড়াই আপনি করপোরেশনের ১৮টি সভার মধ্যে ১৩টিতে অনুপস্থিত ছিলেন। আপনি প্রথম-তৃতীয়, সপ্তম-দশম ও ১২তম -১৭তম সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া বিদেশে গমন ও অবস্থান করেছেন। উল্লিখিত বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জবাবে যৌক্তিক প্রমাণও দিতে পারেননি। আপনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। উল্লিখিত কর্মকাণ্ড সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী কাউন্সিলর পদ থেকে অপসারণযোগ্য। সে অনুযায়ী আপনাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ হতে অপসারণ করা হলো।"

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের পাশে কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ (সাদা চুল)

উল্লেখ্য, কাউন্সিলর সাঈদ যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ফকিরাপুলের ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে র‌্যাবের অভিযানে ক্যাসিনো চালানোর বিষয়টি ধরা পড়লে তার নাম আলোচনায় আসে।

প্রথমেই যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে যায় র‌্যাব। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, মদ, বিয়ার ও নগদ ২৪ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। পাশাপাশি ১৪২ জনকে আটকে সাজা দেয় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর পাশের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে র‌্যাবের অভিযানে নগদ ২০ লাখ ২৭ হাজার টাকা, জুয়ার সরঞ্জাম, ২০ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট, বিপুল পরিমাণ মদ ও মাদক জব্দ করা হয়।

ওই দিন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. কাওসারের সঙ্গে ওই এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাইদ এই ক্লাবটি চালাতেন। এছাড়া আরামবাগ ক্রীড়া সংঘেরও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কাউন্সিলর সাঈদ। এই ক্লাবেও ক্যাসিনোর সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

অবৈধভাবে ক্যাসিনো পরিচালনায় এরইমধ্যে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুবলীগের পদ থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এই সময়ে কাউন্সিলর সাঈদের নামও আলোচনায় এলেও তিনি আগেই দেশের বাইরে গেছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ