‘নির্বিঘ্নে আত্মসমর্পণ’ করতে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় পেলেন ড. ইউনূস
(last modified Mon, 28 Oct 2019 07:50:32 GMT )
অক্টোবর ২৮, ২০১৯ ১৩:৫০ Asia/Dhaka
  • ড. মুহাম্মদ ইউনূস
    ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেশে ফিরে ‘নির্বিঘ্নে আত্মসমর্পণের’ সুযোগ দিতে আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি, ঢাকা বা চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফেরার পর আত্মসমর্পনের আগ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার বা হয়রানি না করতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ড. ইউনূসের ভাই ড. মুহাম্মদ ইব্রাহিমের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ (সোমবার) এ আদেশ দেন।   

নিজের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করায় চাকরিচ্যুতির অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গত ৯ অক্টোবর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। এ অবস্থায় তার ভাই ড. ইউনূস যাতে দেশে ফিরে নির্বিঘ্নে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারে সেই আবেদন জানিয়ে গত রোববার রিট করেন ড. ইব্রাহিম। আজ আদালতে ওই আবেদনের ওপর শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।  

আদালতে ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে তিনজন লোক তিনজনের বিরুদ্ধে লেবার কোর্টে তিনটি মামলা করেছে। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে ওনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। যখন মামলাটা ফাইল হয় তখন তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। গ্রেফতারি পরোয়ানার সময়ও তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। এখন ইউনূস সাহেব এয়ারপোর্টে এলে গ্রেফতার হতে পারেন। সেটার জন্য ওনার ভাই মুহাম্মদ ইব্রাহিম একটি রিট পিটিশন করেছেন। আবেদনে তিনি বলেছেন- ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিশিষ্ট নাগরিক। নোবেল বিজয়ী। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। ওনার আদালত থেকে লুকিয়ে থাকার কোনো কারণ নেই। উনি এখানে এসে আদালতে যাবেন। এয়ারপোর্টে এসে উনি যেন ফ্রিলি আদালতে যেতে পারেন। আদালত আদেশ দিয়েছেন উনি দেশে এসে ফ্রিলি কোর্টে যেতে পারবেন। ওনাকে কেউ হয়রানি করবে না। ইউনূস সাহেব ৭ নভেম্বরের মধ্যে কোর্টে হাজির হবেন।’

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. ইউনূসসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের প্রস্তাবিত শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালামসহ সদ্য চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারী। পরে আদালত ৮ অক্টোবর আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।

ড. ইউনূস ছাড়াও অপর দুজন হলেন, একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন।

গত ৯ অক্টোবর মামলার অপর দু'জন আসামি আদালতে হাজির হলেও ড. ইউনুস আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এ অবস্থায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ