চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বাংলাদেশিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করল ভারতীয়রা
(last modified Tue, 26 Nov 2019 06:30:59 GMT )
নভেম্বর ২৬, ২০১৯ ১২:৩০ Asia/Dhaka
  • আবদুল গনির মরদেহ
    আবদুল গনির মরদেহ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চাকুলিয়া সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক ও বিএসএফ সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত আবদুল গনি (২৫) চারুলিয়া গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।

আজ (মঙ্গলবার) ভোরে চারুলিয়া সীমান্তের ভারতীয় অংশে এ ঘটনা ঘটে বলে দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান।

ওসি বলেন, গণি মিয়া ‘গরু চুরি’ করার জন্য সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করলে সেখানে স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়ে। তারা গণি মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সীমান্ত এলাকায় ফেলে রাখে।” পরে বাংলাদেশ অংশের সীমান্তের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।

তবে, নিহতের ফুফাতো ভাই ইমাদুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত ১টার দিকে আবদুল গণিসহ চার কৃষক সীমান্ত সংলগ্ন জমিতে ভুট্টা ক্ষেতে সেচ দিতে যায়। এ সময় তারা সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে পৌঁছলে ভারতের রাঙ্গিয়ারপোতা ক্যাম্পের ৮১নং বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া দেয়। বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে অন্য তিনজন গ্রামে ঢুকে পড়লেও ধরা পড়ে আব্দুল গণি। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে টেনেহিঁচড়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। ভোরে গণিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত অবস্থায় সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফেলে রেখে যায়।”

সীমান্তে কয়েকজন বিএসএফ সদস্য

নিহত মামা কালু বিশ্বাস জানান, “আবদুল গণিকে ধরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাম পায়ের শিরা কেটে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সে মারা যায়।”

সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সোহরাব হোসেন জানান, “ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে আবদুল গণিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেছেন, আবদুল গণির বিরুদ্ধে অবৈধপথে ভারতে থেকে গরু আনার অভিযোগে একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তবে তারা তাকে পিটিয়ে মেরেছে তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে বিজিবির এ কর্মকর্তা জানান।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ