শফিক রেহমানের গ্রেফতার নিয়ে বিএনপির বক্তব্য: বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i7582
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের মামলায় কোথাও শফিক রেহমানের নাম না থাকা সত্ত্বেও তাকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। শনিবার সকালে গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি করেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
এপ্রিল ২৩, ২০১৬ ২০:২৫ Asia/Dhaka

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের মামলায় কোথাও শফিক রেহমানের নাম না থাকা সত্ত্বেও তাকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। শনিবার সকালে গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি করেন।

‘মিথ্যা অভিযোগে আটক সাংবাদিক শফিক রেহমানের মুক্তি ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানোর চক্রান্ত বন্ধ করার জন্য’ সরকারের প্রতি আহবান জানায় বিএনপি।

মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বিচার হওয়া মামলার অভিযোগপত্র, আদালতে জমা দেয়া সরকারের লিখিত রিপোর্ট, অভিযুক্ত বা সাক্ষীদের কোনও জবানবন্দি ও মামলার রায় এমনকি ঢাকার রমনা থানায় দায়েরকৃত এফআইআর, পল্টন থানায় দায়ের করা মামলার কোথাও সাংবাদিক শফিক রেহমান এবং আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান অথবা বিএনপি’র কোনো নেতার নাম উল্লেখ নেই।

এ প্রসঙ্গে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দাখিল করা মার্কিন সরকারের নথিপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ৩০০ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা) সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে সরকার কোনও কথা বলছে না কেন?

লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আদালতে জমা দেয়া মার্কিন সরকারের রিপোর্টে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ কিংবা দৈহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ আদালত গ্রহণ না করা সত্ত্বেও শুধু জয়ের ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্টের ওপর ভিত্তি করে ঢাকায় পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে এফআইআর হলো, গোপনে তদন্ত হলো, মামলা হলো এবং সুপরিচিত সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হলো, রিমান্ডে নেয়া হলো। এটা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল সকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক পরিচয়ে সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ শফিক রেহমানকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়।

শফিক রেহমানের গ্রেপ্তার ও এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দাশ রেডিও তেহরানকে বলেন, জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার তাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত। একই সাথে জনগণের নানাবিধ অসন্তোষকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেবার জন্য শফিক রেহমানের মতো ইস্যু সামনে এনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যস্ত রাখার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

ব্যাপক জনঅসন্তোষকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেবার জন্য শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মনে করেন দৈনিক দিনকাল পত্রিকার সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী।

শফিক রেহমানের সাংবাদিকতার জন্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ হবে না হবে তা নিয়ে সজীব ওয়াজেদের মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী।

ওদিকে, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র এবং তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (এফবিআই) এজেন্ট রবার্ট লাস্টিকের সঙ্গে সাংবাদিক শফিক রেহমানের সরাসরি যোগাযোগ ছিল।

গতকাল শুক্রবার নিজের ফেসবুকে পোস্ট করা বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জয় আরো বলেন, শফিক রেহমান মার্কিন নাগরিক না হয়েও ঘুষের মাধ্যমে এফবিআইয়ের গোপন নথি কিনেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে এটা গুপ্তচরবৃত্তি এবং সেটা যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি অপরাধ। তাই যুক্তরাষ্ট্রেও শফিক রেহমানের বিচার হতে পারে। # (আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান)