বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিসের আহ্বান
করোনাভাইরাসের মহাদুর্যোগের মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যাদুর্গত ও পানিবন্দি লাখো মানুষের সাহায্যে প্রয়োজনীয় ত্রাণ তৎপরতার দাবি জানিয়েছে দু’ টি ইসলামপন্থী দল-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং খেলাফত মজলিস। আজ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে ঊভয় সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশের বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যার্থে অবিলম্বে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য, পানীয়, ঔষধসহ জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় উপকরণ পৌঁছে দেয়ার জন্য জরুরীভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
একই সাথে ইসলামী আন্দোলন এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম-পীর সাহেব চরমোনাই- আজ এক বিবৃতিতে অসহায় বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ মুহূর্তে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো মানবিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মানুষজন অসুস্থ হলে চিকিৎসা সেবা নিয়েও চরম দুর্নীতি চলে। স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি, ঔষধ নিয়ে দুর্নীতি কোনক্রমেই মেনে নেয়া যায় না বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসংগে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, এসব দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে হলে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর ইসলাম প্রতিষ্ঠা ছাড়া জবাবদিহিমূলক সরকার কখনো প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে, খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জ, শেরপুর, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, চাঁদপরসহ দেশের বিশ পঁচিশটি জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করছে। বিশেষ করে নিম্ন ও চরাঞ্চলের মানুষ অসহায় অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু এ সব পানিবন্দি মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের তৎপরতা নেই।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, সরকার করোনায় বিপর্যস্ত কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে যেমন ব্যর্থ হয়েছে তেমনি চলমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যও কোন মাথাব্যাথা নেই। সবাই দুর্নীতি আর নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। করোনা দুর্যোগে সাধারণ মানুষ সর্বশান্ত। এর মধ্যে বন্যার পানিতে লাখ লাখ মানুষের ঘর বাড়ী পানিতে তলিয়ে গেছে। আশ্রয়হীন হয়ে পরেছে লাখো মানুষ। পানিবন্দি মানুষদের গবাদি পশুসহ নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। পানিবন্দি মানুষের কাছে জরুরি খাদ্য ও পানীয় পৌঁছানো প্রয়োজন। পরবর্র্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পুনর্বাসন করেত হবে।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/এনএম/২১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।