করোনায় সময়মতো পদক্ষেপ নেয়ায় অর্থনীতি গতিশীল আছে: প্রধানমন্ত্রী
(last modified Tue, 06 Oct 2020 12:31:32 GMT )
অক্টোবর ০৬, ২০২০ ১৮:৩১ Asia/Dhaka
  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা পরিস্থিতে খুব সময় মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলেই সরকার অর্থনীতিটাকে গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে।

আজ  মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা খুব সময় মতো পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। কত টাকা আছে, কি আছে , সেটা চিন্তা করিনি। এটাই চিন্তা করেছি , এই দুঃসময়ে আমাদের অর্থনীতির চাকাটাকে যদি গতিশীল রাখতে হয় তাহলে অবশ্য সেখানে আমাদের পৌঁছাতে হবে। মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে হবে। আর সাধারণ মানুষ যারা... আসলে কোনো কাজ না থাকলে তাদের তো জীবনটা চালানোই মুশকিল। তাদেরও নগদ অর্থ সাহায্য করা বা বিভিন্ন সেক্টরে যে আমরা টাকা পাঠিয়েছি সেগুলোও কিন্তু খুব কাজে লেগেছে।’

প্রধানমন্ত্রী করোনাকালীন আর্থিক প্রণোদনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমরা যে প্রণোদনাটা দিয়েছি- এই প্রণোদনাটা যখনই এরা নিতে শুরু করেছে, তখনই কিন্তু তারা আবার ব্যবসাতে ফিরে আসতে পারছে। এমন কোনো সেক্টর নাই যাদেরকে আমরা সাহায্য দেইনি। বিত্তশালী-বড় লোক তাদের সেভাবে আমরা দেইনি। সব ধরনের যারা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি এবং সময় মতো আমরা যে টাকাটা দিলাম, নগদ এবং প্রণোদনা দিলাম এটাতেই কিন্তু ব্যবসাটাকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। যারা লেবার তাদেরও কাজ করবার আগ্রহ ছিল, তারাও কাজ করছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কৃষিতে আমরা সরাসরি দিলাম, আবার শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরগুলোর জন্য আমরা আলাদা ভাবে কিন্তু ভাগে ভাগে যেমন ক্ষুদ্র ও মাঝারির জন্য আলাদা, বৃহৎ শিল্পের জন্য আলাদা এ রকম প্রত্যেকটা সেক্টরের জন্য আমরা ভাগ ভাগ করে দেওয়ার পরে, গার্মেন্টস সেক্টরের জন্য আলাদা আমরা বিশেষ ভাবে দিলাম- এই দেওয়ার কারণেই অর্থনীতিটাকে গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি’,

কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কৃষি আমাদের ধরে রাখতে হবে এবং খাদ্য উৎপাদনটা বাড়াতে হবে। মানুষের যাতে খাবারে কষ্ট না হয়। সেটা আমরা কিন্তু ধরে রেখেছি।’

ওদিকে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)আজ কের বৈঠকে রোহিঙ্গা সহায়তাসহ তিনটি প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধিসহ নতুন আরেকটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দিয়েছে তিন প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধিসহ নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। আর বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে ৯১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও জাতিসংঘের মহাসচিব এর আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তারা ফিরে গিয়ে এই অনুদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখানে রোহিঙ্গারা আসার পর স্থানীয় জনগণের অনেক অসুবিধা হয়েছে। তাই এ প্রকল্পের মাধ্যমে অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।’#

পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ