বাংলাদেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৮ জনের মৃত্যু
(last modified Fri, 25 Jun 2021 12:48:47 GMT )
জুন ২৫, ২০২১ ১৮:৪৮ Asia/Dhaka
  • বাংলাদেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৮ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা একদিনের ব্যবধানে একলাফে শতকের ঘরে পৌঁছে গেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টা থেকে আজ (শুক্রবার) সকাল ৮টা পর্যন্ত মারা গেছেন আরও ১০৮ জন। দেশে করোনায় মৃত্যুর রেকর্ডে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল দেশে করোনায় সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সর্বশেষ মৃত্যুর হিসাব নিয়ে দেশে এযাবৎ মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯৭৬ জনে।

আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২৭ হাজার ৬৫৩ জনের। নতুন করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন আরও ৫ হাজার ৮৬৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ২২ শতাংশ। এ নিয়ে  দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৪ জন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দেশে করোনায় ৮১ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন আরও ৬ হাজার ৫৮ জনের করোনা শনাক্তের কথাও জানানো হয়।

খুলনা-রাজশাহীতে সংক্রমণ বাড়ছে

গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণ বাড়ায় রোগীর চাপ বেড়েছে হাসপাতালেও।

একদিনে রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিটে মারা গেছে আরও ১৪ জন। মৃতদের মধ্যে ৫ জন করোনা পজিটিভ। বাকিদের উপসর্গ ছিল। রাজশাহীতে করোনা শনাক্তের হার ২৯ দশমিক সাত-পাঁচ শতাংশ।

জুন মাসের ২৫ দিনে (১-২৫ জুন) রাজশাহী মেডিকেলে করোনা উপসর্গ নিয়ে মোট ২৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া করোনা শনাক্ত বা পজিটিভ হয়ে মারা যান ১৩৮ জন।

হাসপাতালটিতে ৩৫৭ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪২৩ জন রোগী।

এছাড়া খুলনার করোনা হাসপাতালে ৬, সাতক্ষীরায় ৮ ও কুষ্টিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।

এক সপ্তাহে ভারত থেকে আসা ৫৪ জনের করোনা

ওদিকে, জুনের তৃতীয় সপ্তাহে (১৪ থেকে ২০ জুনের মধ্যে) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন এমন আটজন ভারতীয় নাগরিকসহ মোট ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই ভারতে চিকিৎসা শেষে নিজ দেশে ফিরে আসা বাংলাদেশি নাগরিক।

ওদিকে, দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলের ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক নেতারা দাবি করেছেন, স্থল বন্দরের সকল শ্রমিককে দ্রুত ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হোক।

উল্লেখ্য, বেনাপোল স্থলবন্দরে বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ট্রাকচালক হেলপার, সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পণ্য খালাসের সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে হ্যান্ডেলিং শ্রমিকসহ ১০ হাজার মানুষ। ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক চালকরা সরাসরি প্রবেশ করছেন বেনাপোল বন্দরে। বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে করোনা সংক্রমণের হার বেশি। এ অবস্থায় ভারতগীয় ভেরিয়েন্ট ও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধব্যবস্থা কার্যকর করা জরুরি।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, কয়েকদিন আগে বন্দরে করোনা প্রতিরোধ এক সভায় বিষয়টি বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। তিনি বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় কথা বলবেন বলে জানিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে আলোচনা করে সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ