নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন করতে রিট, খারিজ করল হাইকোর্ট
বাংলাদেশ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সংবিধান অনুসারে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা দায়ের করা একটি রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি আবেদনটি দায়ের করেছিলেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম। গত ২৪ অক্টোবর রিটটি শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত ৩১ অক্টোবর (আজ) শুনানির জন্য দিন রাখেন।
রিটের শুনানি নিয়ে আজ (রোববার) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্ট সংসদকে আইন প্রণয়ন করতে নির্দেশ দিতে পারেন না- এমন যুক্তি বিবেচনায় নিয়ে রিটটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অনধিক চারজন কমিশনারকে নিয়ে বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে। এ বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারকে নিয়োগ দান করবেন।
কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব নিতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়। এ রিট আবেদন পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন–সম্পর্কিত সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।
রিট আবেদনকারীপক্ষ জানায়, নির্বাচন কমিশন আইন-২০২১ নামে বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আইনের খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়। তার আলোকে আইন প্রণয়ন করে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখে রিটটি করা হয়।
এর আগে, ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি সংবিধান অনুসারে ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল দেন। রুলে সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন বা বিধান প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুল শুনানির অপেক্ষায় বলে জানান ইউনুছ আলী আকন্দ।#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৩১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।