জুন ১৫, ২০২৪ ১৯:৪৫ Asia/Dhaka
  • মল্লিকার্জুন খাড়গে
    মল্লিকার্জুন খাড়গে

বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকারের পতন যেকোনো সময় হবে বলে দাবি করেছেন ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।

আজ (শনিবার) বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‌‌‘‘ভুল করে এনডিএ সরকার গঠিত হয়েছে। মোদির ম্যান্ডেট নেই। এটা সংখ্যালঘু সরকার। যেকোনো সময় এই সরকারের পতন ঘটতে পারে।’’

দেশের কল্যাণে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মোদী সরকারের পতন ঘটাতে কংগ্রেস সক্রিয় হবে না বলেও বার্তা দেন খড়গে। তিনি বলেন, "আমরা দেশের মঙ্গল চাই। দেশকে শক্তিশালী করতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অভ্যাস আছে, কোনো কিছু ভালোভাবে চলতে না দেওয়ার। কিন্তু আমরা দেশকে শক্তিশালী করতে সহযোগিতা করব"

জোট সরকার নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গের এমন মন্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এনডিএ জোটের নেতারা। জনতা দলের (ইউনাইটেড) নেতা নীরজ কুমার কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রসঙ্গ টেনে খোঁচা মেরেছেন। তিনি ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও সংখ্যালঘু সরকার গঠন করেছিলেন বলে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।

জনতা দলের নেতা বলেছেন, "১৯৯১ সালের লোকসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস ২০২৪ সালে বিজেপির মতো একই সংখ্যক আসন জিতেছিল। পরিষ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় কংগ্রেস পিভি নরসিমা রাওয়ের অধীনে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করেছিল। রাও তখন ছোট দলগুলোকে বিভক্ত করে দুই বছরের মধ্যে সংখ্যালঘু কংগ্রেসকে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলে পরিণত করেন।"

এর আগে গত শনিবার লোকসভা ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকের পর মমতা বলেছিলেন, "ইন্ডিয়া জোটই আগামী দিনে সরকার গড়বে। সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এখন আমরা শুধু পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলছি।"

ভারতের সদ্যসমাপ্ত ৫৪৩ আসনের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট ২৯৩ আসন পেয়েছে। জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। যদিও এই নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য ২৭২ আসনের প্রয়োজন হলেও তার রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি ২৪০ আসন পেয়েছে। যে কারণে এনডিএ জোটের সঙ্গীদের ওপর ভর করে ব্যাপক উত্তেজনাকর সময় পেরিয়ে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

জোটের যে চারটি দলের সমর্থন বিজেপিকে রেকর্ড তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনে সাহায্য করেছে সেসব দল হল, অন্ধ্র প্রদেশের এন চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জনতা দল (ইউনাইটেড) অন্যতম। এই দুই দল লোকসভার নির্বাচনে যথাক্রমে ১৬ ও ১২টি আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া মহারাষ্ট্রের সাত আসন জয়ী একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এবং বিহারের পাঁচ আসন জয়ী চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি-রাম বিলাসও রয়েছে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৫

ট্যাগ