এটিএম মা’ছুমের প্রতিক্রিয়া
জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকার। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সরকারের নির্বাহী আদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গ–সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনি মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়।
আজ দুপুরে আইনি মতামত দেওয়ার পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এই দলগুলো নিষিদ্ধ হওয়ার পর তারা আর এই নামে রাজনীতি করতে পারবে না।
এদিকে, গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মা’ছুম বলেছেন, "কোনো দলকে সরকারি ফরমানে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেই নিষিদ্ধ হয়ে যায় না। যে দলের সঙ্গে কোটি কোটি মানুষের সম্পৃক্ততা, সে দল কোনো সরকারি ফরমানে নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে না।"
তিনি বলেন, জামায়াত তার সব কর্মসূচি গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে অব্যাহত রাখবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের জনগণ নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবং শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলা করবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছিলেন সরকারের মন্ত্রীরা। এমন পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় সভায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হন ওই জোটের শীর্ষ নেতারা। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সেই বৈঠক হয়। জোটের বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর এখন সরকারের নির্বাহী আদেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করা হলো।
আদালতের রায়ে নির্বাচন কমিশন ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে। জামায়াতের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।#
পার্সটুডে/এমএআর/১