আলী সানির সঙ্গে বাকেরি কানির ফোনালাপ
ইসরাইল ও আমেরিকার ধুর্তামির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: কাতারকে ইরান
অপরাধী ইসরাইল সরকার ও তার প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমেরিকার ‘ধুর্তামি ও প্রতারণা’র ব্যাপারে কাতারকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইরান। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় যে আলোচনা চলছে সে প্রসঙ্গে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছে তেহরান।
ইরানের অন্তর্বর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাকেরি কানি শুক্রবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আলে সানির সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে এ হুঁশিয়ারি দেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আলে সানির সঙ্গে এটি ছিল বাকেরি কানির দ্বিতীয় ফোনালাপ।
এ সম্পর্কে কানি তার এক্স পেজে দেয়া এক পোস্টে লিখেছেন, তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত দোহা বৈঠকের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা প্রসঙ্গে আলে সানির সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের কথা উল্লেখ করে আমি কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আলোচনার টেবিলে তেল আবিব ও তার প্রধান দোসর আমেরিকার ধুর্তামি ও প্রতারণার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছি।”
ওই ফোনালাপের আগে শুক্রবারই আমেরিকা, কাতার ও মিশর এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, কাতারের রাজধানী দোহায় গাজা যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা ইতিবাচক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা ‘আন্তরিক ও গঠনমূলক’ ছিল বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী ওই তিন দেশের বিবৃতিতে দাবি করা হয়, দোহা আলোচনায় হামাস ও ইসরাইলের দাবিগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে প্রেস টিভি জানিয়েছে, দোহা আলোচনায় ইসরাইলের নতুন একটি দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে যেখানে ইহুদিবাদী সরকার এই উপত্যকার ভেতরে গাজা-মিশর সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে রাখার দাবি জানিয়েছে। হামাস অবশ্য কোনো অবস্থায় গাজায় ইসরাইলি সেনা মোতায়েন রাখার বিষয়টি মেনে নিতে রাজি নয়।
এ সম্পর্কে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমেরিকা যখন গাজাবাসীর ওপর গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরাইলকে হাজার হাজার টন বোমা দিয়ে সাহায্য করছে তখন সে এই যুদ্ধে ইহুদিবাদীদের দোসরের ভূমিকা পালন করছে; মধ্যস্থতাকারীর নয়। তিনি তার এক্স পোস্টে আরো লিখেছেন, “কাজেই আমি বলেছি, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধ করতে বাধ্য করার জন্য সকল সক্ষমতা কাজে লাগানো উচিত।”#
পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/১৭