তাবুতে আশ্রয় গ্রহণকারী মানুষদের হত্যা করতে বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা ব্যবহার
মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানাল ইরান
গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরের কাছে তাবু দিয়ে তৈরি একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইহুদিবাদী বাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। মঙ্গলবার ভোররাতে চালানো ওই পাশবিক হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত ও অপর ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি বলেছেন, গাজায় গণহত্যা চালানোর ক্ষেত্রে ইসরাইলি বাহিনী যেমন কোনো আন্তর্জাতিক আইন মানছে না তেমন নৈতিক মূল্যবোধের প্রতিও তাদের বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই।
খান ইউনিসের কাছে আল-মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে চালানো ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে কানয়ানি বলেন, তাবুতে আশ্রয় নেয়া মানুষদের ওপর বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা দিয়ে হামলা চালানোর মতো পাশবিক কাজ আর হতে পারে না।
তিনি বলেন, নিরাশ্রয় মানুষগুলো যখন শেষ রাতে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল তখন তাদের ওপর ওই পাশবিক হামলা চালায় দখলদার সেনারা।
কানয়ানি গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সীমাহীন অপরাধযজ্ঞের লাগাম টেনে ধরতে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষণা ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ইসরাইলের লাগাম অবশ্যই টেনে ধরা উচিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোররাতে আল-মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমার আঘাতে বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়। এ সময় উদ্ধারকারী দলগুলোকে মাটির নীচে চাপা পড়া হতাহত মানুষদের খুঁজতে দেখা যায়। আহত নারী ও শিশুদের আর্তচিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরকে এর আগে নিরাপদ অঞ্চল বলে ঘোষণা করেছিল তেল আবিব। ফলে বেসামরিক ফিলিস্তিনি জনগণ বিশেষ করে নারী ও শিশুরা নির্বিঘ্ন চিত্তে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্ব মানবতার শত্রু ইসরাইল নিজেদের ঘোষিত সেই নিরাপদ অঞ্চলে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে নিরপরাধ নারী ও শিশুদের রক্ত ঝরাল।#
পার্সটুডে/এমএমআই/১১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।