গাজায় মানবতা পদদলিত
গণহত্যা সত্ত্বেও ইসরাইলকে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেবে আমেরিকা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা সত্ত্বেও দখলদার এই শক্তিকে প্রাণঘাতী অস্ত্র এবং সামরিক সহায়তা দেয়া অব্যাহত রাখবে আমেরিকা। ইহুদিবাদীদের আগ্রাসনে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৪৩ হাজার ৭শ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নিশ্চিত করেছে যে, তারা ইসরাইলকে অস্ত্রের চালান পাঠানো বন্ধ করবে না কিংবা কমাবে না। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ করার নীতির প্রশ্নে এ পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি।
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ত্রাণ সাহায্য বাড়াবে বলে তেল আবিবকে ওয়াশিংটন ৩০ দিনের সময়সীমা বেধে দিয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর বাইডেন প্রশাসন বলেছিল, এই ৩০ দিনের মধ্যে গাজায় হত্যাযজ্ঞ না কমালে মার্কিন আইন অনুযায়ী ওয়াশিংটন কাজ করতে বাধ্য হবে। মার্কিন আইনে বলা আছে- যেসব দেশ ত্রাণ বিতরণে বাধা দেবে সেসব দেশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করা যাবে না।
ইসরাইল কথিত এই সময়সীমা উপেক্ষা করে চলেছে। সময়সীমা শেষের কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও আমেরিকা ইসরাইলের প্রাণঘাতী সহায়তা বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের মধ্যদিয়ে গাজায় প্রকৃতপক্ষে মানবতা পদদলিত হয়েছে। আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলো মানবতা এবং মানবাধিকারের কথা বললেও তারা ইসরাইলি আগ্রাসন থেকে ফিলিস্তিনি সাধারণ লোকজনকে বাঁচানোর জন্য কার্যত কিছু্ করেনি বরং তারা যুদ্ধে চালিয়ে নেয়ার জন্য ইসরাইলকে দফায় দফায় অস্ত্র ও সমারকি সহায়তা দিচ্ছে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/জিএআর/ ১৩