দুই হাজার মানুষ খুন করতে হাসিনার বুক একটুও কাঁপেনি: সারজিস
https://parstoday.ir/bn/news/event-i144126
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, খুনি হাসিনা সারাজীবন শুধু নিজের পরিবারের গান গাইতে গাইতে ক্ষমতাটা আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে রেখেছিলেন।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
নভেম্বর ২৩, ২০২৪ ১৮:২১ Asia/Dhaka
  • দুই হাজার মানুষ খুন করতে হাসিনার বুক একটুও কাঁপেনি: সারজিস

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, খুনি হাসিনা সারাজীবন শুধু নিজের পরিবারের গান গাইতে গাইতে ক্ষমতাটা আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে রেখেছিলেন।

যেখানে গেছেন সেখানেই তার পরিবার নিয়ে কান্নাকাটি করেছেন। তার পরিবারের ১৮ জনই শুধু মানুষ, আর এই দুই হাজার জন মানুষ নয়! এদের খুন করার সময় তার বুকটা একটুও কাঁপেনি। আজ আমার যে ভাই শহীদ হয়েছে, যে বোন শহীদ হয়েছে, সেই শহীদ পরিবারের বাবা-মা ভাই বোনকে আমরা কীভাবে সান্ত্বনা দেব?

আজ (শনিবার২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আন্দোলনে বরিশাল বিভাগের শহীদ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সারজিস বলেন, খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের প্রশ্ন, তাদের পক্ষে কারও সাফাই গাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আমরা এটা করতে দেব না। খুনি হাসিনা সারাজীবন ১৯৭৫ সালের গল্প বলে ক্ষমতা সবসময় সুদৃঢ় করার চেষ্টা করেছেন। এখন তিনি দুই হাজার মানুষকে কীভাবে খুন করলেন। তিনি যদি দরদ বোঝেন তাহলে এ খুনগুলো কীভাবে করতে পারেন? যে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম সামনে রেখে তারা এ কাজগুলো করেছে তাদের কোনো অধিকারই নেই এই বাংলাদেশে চলার।

সারজিস আলম আরও বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে সব ভুলে যাই, ওই ১৬ বছর ভুলে গেছি, আমরা ওই ৩৬ দিন ভুলে গেছি, এখন আমরা নতুন কিছু নিয়ে আছি। কিন্তু এই জবাব খুনি হাসিনাকে দিতে হবে, খুনি হাসিনার দোসরদের জবাব দিতে হবে।

আর এ বিষয়গুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত একটি যৌক্তিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত এই বাংলাদেশে তাদের পুনর্বাসনের কথা যারা বলে, আমরা মনে করি খুনি হাসিনার মতো তারা আরেক ধরনের ক্ষমতা পিপাসু লোভী। এই বাংলাদেশে তাদের বিচার হওয়ার প্রশ্নে তাদের একটা কথা হওয়া উচিত- তাদের পুনর্বাসনের প্রশ্নে তাদের পক্ষে কারও সাফাই গাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমরা এটা আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও করতে দেবো না।

শেষে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বরিশাল বিভাগের ৭৯ শহীদ পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।#

পার্সটুডে/জিএআর/২৩