সশস্ত্র বাহিনীকে রণপ্রস্তুতি ও রণশক্তি বাড়াতে বললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো রণপ্রস্তুতি ও রণশক্তি বৃদ্ধি করা।
ইরানের নৌবাহিনীর বেশ কয়েকজন কমান্ডার ও কর্মকর্তা আজ (বুধবার) সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
ফার্সি ১৩৫৯ সালের সাত অযার মোতাবেক ১৯৮০ সালের ২৮ নভেম্বর ইরাকের বাথিস্ট শত্রুদের বিরুদ্ধে ইরানের পেইকান ফ্রিগেটের বীরত্বপূর্ণ সাফল্যের বার্ষিকী উপলক্ষে আজ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফার্সি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ইরানে এই দিবসকে নৌবাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আজকের বৈঠকে বর্তমান বিশ্বে নৌবাহিনীকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী বাহিনী হিসেবে অভিহিত করেন এবং অভিযান পরিচালনা, গোয়েন্দা তৎপরতা, সহায়তা প্রদান, নির্মাণ কাজ ও উদ্ভাবনী তৎপরতায় নৌবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ করে নৌবাহিনীর সকল কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনায় এই বাহিনীর প্রস্তুতি ও রণশক্তি বৃদ্ধির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, শত্রুদেরকে আক্রমণ থেকে বিরত রাখতে যুদ্ধের সক্ষমতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হলো শত্রুদের আক্রমণ প্রতিহত করা। তিনি ইরানের সমৃদ্ধ রণশক্তি ও সামর্থ্যের বিষয়টি তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এর ফলে শত্রুরা বাস্তবিক অর্থেই এটা উপলব্ধি করবে যে, সংঘাতে জড়ালে তাদেরকে ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।
ইসলামী বিপ্লবের নেতা নৌবাহিনীর সমুদ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, এর আগেই যেমনটি বলা হয়েছে ৮৬তম নৌবহরের বহু মাসব্যাপী সমুদ্র অভিযান এবং এর বিস্তারিত বিবরণ শৈল্পিক মাধ্যম ও ভাষা ব্যবহার করে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে।
আজকের বৈঠকের শুরুতে ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল শাহরাম ইরানি দেশটির নৌবাহিনীর গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি ও কার্যক্রমের বিষয়ে সর্বোচ্চ নেতার সামনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।#
পার্সটুডে/এসএ/২৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।