আঞ্চলিক প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর প্রশংসা
লেবাননে যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানালো ইরান, হিজবুল্লাহর প্রতি সমর্থন
লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান। একই সাথে হিজবুল্লাহর প্রতি ইরানের সমর্থনের কথাও জানানো হয়েছে। যুদ্ধবিরতির চুক্তি এরইমধ্যে কার্যকর হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি আজ (বুধবার) বলেন, তেহরান অনেক আগে থেকেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা এবং লেবাননে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন অবিলিম্বে বন্ধ হওয়ার ওপর জোর দিয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে গত ১৪ মাস ধরে ইরান ব্যাপকভাবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
ইসমাইল বাকায়ি আরো বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপের কিছু দেশের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন নিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইল যুদ্ধকামী নীতি অনুসরণ করেছে এবং বর্বরতা চালিয়েছে। তার ফল হিসেবে ফিলিস্তিন এবং লেবাননে ৬০ হাজার মানুষ শহীদ এবং ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া উদ্বাস্তু হয়েছেন ৩৫ লাখ মানুষ। ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজা ও লেবাননে ধ্বংস হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সব অবকাঠামো। ইরানি মুখপাত্র বলেন, যুদ্ধবিরতির পর এখন দখলদার অপরাধীদের ফাঁসি এবং শাস্তি নিশ্চিত করার দিকে বিশ্ববাসীকে মনোযোগ দিতে হবে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর যুদ্ধে হিজবুল্লাহর দৃঢ়তার ব্যাপক প্রশংসা করেছে আঞ্চলিক প্রতিরোধ সংগঠনগুলো।
এ নিয়ে ইরাকের কাতাইব হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলন আলাদা বিবৃতি দিয়েছে। কাতাইব হিজবুল্লাহ জোরালো ভাষায় বলেছে, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে লেবাননের এবং এই যুদ্ধবিরতির কারণে আঞ্চলিক কোনো সংগঠন দুর্বল হবে না বরং প্রতিরোধ অক্ষ আল্লাহর শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
এদিকে, হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের মুখপাত্র আব্দুস সালাম বলেছেন, ইসরাইল শক্ত প্রতিরোধের মুখে না পড়লে যুদ্ধবিরতি মেনে নিত না। তিনি বলেন, বিশ্বাসঘাতক গুপ্তহত্যার অপরাধের মুখেও হিজবুল্লাহ ভেঙে পড়েনি।#
পার্সটুডে/এসআইবি/২৭