ইসরাইল গাজায় নিজের পণবন্দিদের টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে: হামাস
(last modified Sun, 15 Dec 2024 03:34:43 GMT )
ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪ ০৯:৩৪ Asia/Dhaka
  • মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ পৌরসভা ভবনে ইসরাইলি হামলা
    মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ পৌরসভা ভবনে ইসরাইলি হামলা

ইহুদিবাদী ইসরাইল বাহিনী সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী পণবন্দিদের একটি অবস্থানে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে কয়েক দফা’ বিমান হামলা চালিয়েছে। হামাস বলেছে, ইহুদিবাদী সরকার গাজায় আটক তার পণবন্দি সেনাদের ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে এ কাজ করেছে।

হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, শত্রু পণবন্দিদের আটক রাখা হয়েছে এমন একটি স্থানে দখলদার সেনারা এমনভাবে বোমাবর্ষণ করেছে যাতে তারা সবাই নিহত হয়।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, তবে পণবন্দিদের পাহারায় থাকা প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদেরকে সফলভাবে সেখান থেকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু পণবন্দিদেরকে ইসরাইলি হামলা থেকে আর কতো রক্ষা করা সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন হামাসের এই সামরিক মুখপাত্র।

আল-কাসসাম ব্রিগেড টেলিগ্রামে প্রকাশিত পৃথক পোস্টে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে যাতে দেখা যাচ্ছে একজন আহত ইসরাইলি পণবন্দি দখলদার সেনাদের হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষের ভেতর দিয়ে অনেক কষ্ট করে হেঁটে যাচ্ছেন। ওই ফুটেজের সঙ্গে দেয়া বার্তায় হামাস বলেছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইহুদিবাদী সেনাপ্রধান হার্জি হালেভি গাজায় আটক পণবন্দিদের ছাড়িয়ে নেয়ার ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে আল-আকসা তুফান অভিযান শুরুর দিন প্রায় ২৫০ ইহুদিবাদী পণবন্দিকে গাজায় ধরে আনেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তাদের মধ্য থেকে পরের মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ১০৫ জনকে মুক্তি দেয়া হয়।

গত সেপ্টেম্বরে ইসরাইলি বিমান হামলায় ছয় পণবন্দি নিহত হয়। সে সময় হামাস এক বিবৃতিতে বলেছিল, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে নেতানিয়াহু কয়েক ডজন পণবন্দিকে হত্যা করেছে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/১৫