হাসিনা সরকারের সব বিদ্যুৎ-জ্বালানি চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি বিএনপির
(last modified Thu, 02 Jan 2025 12:27:30 GMT )
জানুয়ারি ০২, ২০২৫ ১৮:২৭ Asia/Dhaka
  • হাসিনা সরকারের সব বিদ্যুৎ-জ্বালানি চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি বিএনপির

বাংলাদেশের পতিত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলো জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

আজ (বৃহস্পতিবার) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এ দাবি জানান।

'গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লুটপাট ও পাচার' শীর্ষক বিশ্লেষণ তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন বিএনপি মহাসচিব। বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতি-অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন চার দলীয় জোট সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী টুকু।

তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎখাতে যে ম্যাজিক দেখাতে চেয়েছিল, ম্যাজিক করতে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষের পকেট কেটে নিয়ে গেছে। আপনারা প্রত্যেকে বিদ্যুতে বিল পরিশোধ করেন, সবাই ভুক্তভোগী। আসলে তারা এটা একটা ব্যবসার খাত বানিয়ে ছিল। তারা বুঝতে পেরেছিল যে, এই খাত থেকে কুইক মানি বানানো যায় কোনো হিসাব না দিয়ে। কারণ বিদ্যুৎ তো "হাওয়া", এটা দেখা যায় না।'

তিনি আরও বলেন, 'ক্যাপাসিটি চার্জ। এই ক্যাপাসিটি চার্জে কোন মেশিনে কত ক্যাপাসিটি? কে এটা আইডেন্টিফাই করেছে এবং সেই মেশিনগুলোর এফিসিয়েন্সি কি? এগুলো কেউ বিশ্লেষণ করেও না, দেখেও না। এই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে তারা ১৫ বছরে অনেক টাকা নিয়ে গেছে—প্রায় এক লাখ কোটি টাকা।'

টুকু বলেন, 'আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাই, বিদ্যুৎখাতের প্রত্যেকটা চুক্তি প্রকাশ করুন। তারা তো কোনো পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল মানেনি। আইন করে নিয়মনীতি বন্ধ করে দিয়ে ইচ্ছামতো ক্লোজ টেন্ডারে এসব চুক্তি করেছে। জনগণের অধিকার আছে এসব বিষয় জানার।'

'উই মাস্ট সি দ্যা কন্ট্রাক্ট। তারা কীভাবে কন্ট্রাক্টগুলো করেছে, এটা পাবলিক হওয়া উচিত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম কাজ হলো জনগণের সামনে এই কন্ট্রাক্টগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া,' যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট করা হয় সাধারণত আপদকালীন বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের জন্য। যে প্ল্যান্ট দুই বছরের, সেটা ১৫ বছর পর্যন্ত চালাচ্ছে এবং এসব কুইক রেন্টালে ৭৫ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে উইথ আউট রিটার্ন। বুঝেন কি অবস্থা!'

টুকু বলেন, 'ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির নামে নয় বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়েছে ১১ হাজার ১৫ কোটি টাকা,' বলেন তিনি। এই টাকা কে নিয়েছে?  তিনি আরো বলেন, 'আমরা পুরো বিষয়গুলো রিভিউ করব। মনে রাখতে হবে, রিভিউ মানে বাতিল না। আমরা দেখবো, কোন কোন জায়গায় দুর্বলতা ছিল।'

সাবেক এই বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দাবি, 'আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুতে যেসব উন্নয়ন করা হয়েছে, সেটা টেকসই না। যেকোনো সময় মুখ থুবড়ে পড়বে।'#

পার্সটুডে/জিএআর/২