বার্লিন, হিরোশিমা ও নাগাসাকির অজুহাতে গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল
https://parstoday.ir/bn/news/event-i146060-বার্লিন_হিরোশিমা_ও_নাগাসাকির_অজুহাতে_গাজায়_গণহত্যা_চালিয়েছে_ইসরাইল
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্লিনে ভয়াবহ মার্কিন বোমাবর্ষণ এবং হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে মার্কিন পারমাণবিক হামলার অজুহাতে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালিয়েছে বলে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জানুয়ারি ১৮, ২০২৫ ১০:১৯ Asia/Dhaka
  • জার্মানিতে ভয়াবহ কার্পেট বোমা হামলা পরবর্তী দৃশ্য
    জার্মানিতে ভয়াবহ কার্পেট বোমা হামলা পরবর্তী দৃশ্য

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্লিনে ভয়াবহ মার্কিন বোমাবর্ষণ এবং হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে মার্কিন পারমাণবিক হামলার অজুহাতে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালিয়েছে বলে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি মার্কিন নিউজ চ্যানেল এমএসএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান। বাইডেন গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা শুরু হওয়ার প্রথম সপ্তাহে তেল আবিবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে নিজের সাক্ষাতের কথা উদ্ধৃত করে একথা জানান।

বাইডেন দাবি করেন, সাক্ষাতে তিনি গাজার বেসামরিক এলাকায় বিমান হামলা চালানোর বিরোধিতা করে এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় নেতানিয়াহু পাল্টা যুক্তি তুলে ধরে বলেন, মার্কিনীরা তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বার্লিনে ভয়াবহ কার্পেট বোমা হামলা চালানোর পাশাপাশি হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করেছিল।

বাইডেন বলেন, তার উদ্বেগের জবাব দিতে গিয়ে নেতানিয়াহু আরো বলেন, “আপনারা যুদ্ধ জয়ের প্রত্যয় নিয়েছিলেন বলে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছিলেন।”

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি পাশবিকতা ব্যাখ্যা করতে  গিয়ে এই প্রথম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘটনাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হয়নি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন উগ্র সিনেটর লিন্ডসেস গ্রাহামও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। আমেরিকার যেসব নাগরিক গাজায় গণহত্যার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করছিলেন তাদের উদ্দেশে গ্রাহাম বলেছিলেন, “মার্কিন জনগণের কি জানা আছে টোকিও ও বার্লিনকে ধ্বংস করতে গিয়ে কত মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল?”

মার্কিন ও ইসরাইলি শীর্ষ নেতাদের এসব বক্তব্যের ব্যাপারে বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লাখ লাখ নিরপরাধ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করার দৃষ্টান্ত সামনে রেখে তারা নিজেরাই অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্বের যেকোনো স্থানে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করার পক্ষে সাফাই গাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অথচ নৈতিকতা মূল্যবোধের প্রতি তাদের বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা থাকলে তারা আগের গণহত্যাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার না করে উল্টো সেজন্য বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। #

 পার্সটুডে/এমএমআই/১৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।