গাজায় যুদ্ধবিরতি ইসরাইলের ‘সবচেয়ে বড় পরাজয়’: কুদস ফোর্সের কমান্ডার
(last modified Mon, 20 Jan 2025 05:25:10 GMT )
জানুয়ারি ২০, ২০২৫ ১১:২৫ Asia/Dhaka
  • গাজায় যুদ্ধবিরতি ইসরাইলের ‘সবচেয়ে বড় পরাজয়’: কুদস ফোর্সের কমান্ডার
    গাজায় যুদ্ধবিরতি ইসরাইলের ‘সবচেয়ে বড় পরাজয়’: কুদস ফোর্সের কমান্ডার

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কুদস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কায়ানি ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে দখলদার ইসরাইলের জন্য ‘সবচেয়ে বড় পরাজয়’ বলে বর্ণনা করেছেন।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর তিনি রোববার তেহরানে এক বক্তব্যে বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল তার ‘দৈন্যপীড়িত’ জীবনে এতবড় পরাজয়ের স্বাদ আর কখনও পায়নি। তেল আবিব গাজায় তার কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

জেনারেল কায়ানি বলেন, রক্তপিপাসু ও শিশু হত্যাকারী ইহুদিবাদী সরকার ১৫ মাস নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর বিরামহীন অপরাধযজ্ঞ চালানোর পর আজ এমন একটি যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে যা তার জন্য চরম অবমাননাকর। তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই হামাসের পক্ষ থেকে বর্তমান চুক্তিটিই তুলে ধরা হচ্ছিল কিন্তু এতদিন ইসরাইল সরকার তা মেনে নেয়নি। তবে সামরিক উপায়ে কিছু অর্জন করতে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে সেই চুক্তিটিই মেনে নিতে হয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে আল-আকসা তুফান অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক ইহুদিবাদীকে পণবন্দি হিসেবে ধরে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। ইহুদিবাদী ইসরাইল হামাসকে ধ্বংস করে পণবন্দিদের জীবিত উদ্ধার করার জন্য ওই দিনই গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করে। এরপর ২০২৩ সালেরই নভেম্বরে এক সাময়িক যুদ্ধবিরতির আওতায় ১০৫ নারী ও শিশু পণবন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়।

এরপর আরো প্রায় ১৪ মাস গাজায় পাশবিকতা চালিয়েও কোনো পণবন্দিকে উদ্ধার করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করার চুক্তি করতে বাধ্য হয় তেল আবিব। ওই যুদ্ধবিরতি গতকাল (রোববার) স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টায় কার্যকর হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম দিন তিন ইসরাইলি নারী সেনা ও ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।#

 পার্সটুডে/এমএমআই/২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।