বিজিবির জন্য কেনা হচ্ছে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
(last modified Mon, 20 Jan 2025 11:29:07 GMT )
জানুয়ারি ২০, ২০২৫ ১৭:২৯ Asia/Dhaka
  • জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
    জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ (সোমবার) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা জানান। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'অনেকে প্রশ্ন করেন সীমান্তে বিজিবি কেন সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ছোড়েনি— এগুলো তো বিজিবির কাছে নেই। তাদের কাছে তো সব লিথ্যাল উইপন (প্রাণঘাতী অস্ত্র)। তারা ওটা ব্যবহার করতে পারেনি। আমরা এখন তাদের অনুমতি দিয়েছি এবং খুব তাড়াতাড়ি তাদের জন্য সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল জিনিসগুলি কেনা হবে।'

এক প্রশ্নের জবাবে সীমান্ত এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বড় ধরনের কোনো সমস্যা সেখানে নেই।

সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে ফসল কাটা নিয়ে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজিবি তখন পাল্টা এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেনি। 

আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রাণঘাতী অস্ত্র তো প্রয়োজন হলে ব্যবহার করতে পারবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে কোন সময় কোনটা ব্যবহার করতে হবে। সীমান্তের অবস্থা এখন মোটামুটি স্থিতিশীল। বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই। 

সংশ্লিষ্ট আরেক প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ভারতের কাছে সাউন্ড গ্রেনেড আছে। ভারতের এটা খারাপভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগই নেই।

তিনি বলেন, আগামী মাসে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে একটা কনফারেন্স আছে। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। তারা জানাবে, যে বিষয়গুলোতে যে চুক্তিগুলিতে অসঙ্গতি আছে, এগুলো দেখতে হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে অনেকে অবৈধভাবে বসবাস করছে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এই সংখ্যা আগে ছিল ৪৯ হাজার ২২৬ জন। সেটি কমে এখন দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জনে। ৩১ জানুয়ারি তাদের এই সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। এরমধ্যে আমাদের ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। যারা অবৈধভাবে আছে তাদের বিরুদ্ধে ৩১ জানুয়ারির পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তাদের বিরুদ্ধে না যারা তাদের কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা করে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#

পার্সটুডে/এমএআর/২০