ইসরাইল ও মিশর ছাড়া বিদেশে সব সহায়তা স্থগিত করল মার্কিন সরকার
-
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও
মার্কিন সরকার ইহুদিবাদী ইসরাইল ও মিশর ছাড়া বিদেশে তাদের সব ধরনের সহাযতা কার্যক্রম স্থগিত করেছে। গত সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই ৯০ দিনের জন্য বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন ট্রাম্প।
আজ (শনিবার) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নথিটি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও বিদেশি দূতাবাসগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
ফাঁস হওয়া ওই নথিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি নতুন ও বিদ্যমান সহায়তা সম্প্রসারণের প্রস্তাব পরিপূর্ণভাবে পর্যালোচনা ও অনুমোদনের আগ পর্যন্ত এগুলোর অধীন বাধ্যতামূলকভাবে অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না।’
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই নথিতে উল্লেখিত নির্দেশনার আওতার বাইরে থাকবে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও মিশরে দেওয়া সামরিক সহায়তা। গাজাযুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলে অস্ত্র সহায়তা বাড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, ১৯৭৯ সালে ইসরাইলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা তহবিল পেয়ে আসছে মিশর।
যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি খাদ্য সহায়তাও নতুন নির্দেশনার বাইরে থাকবে। সুদান ও সিরিয়াসহ বিশ্বের সংকটাপন্ন দেশগুলোতে লম্বা সময় ধরে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক দিন পর দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও একটি অভ্যন্তরীণ নথি বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন। ক্ষমতা গ্রহণের সময় বৈদেশিক সহায়তার ওপর কঠোর বিধিনিষেধসংক্রান্ত ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি গ্রহণের আশ্বাস দেন ট্রাম্প।
এই আদেশটি উন্নয়ন সহায়তা থেকে শুরু করে সামরিক সহায়তা পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করবে বলে মনে হচ্ছে। এ নির্দেশের কারণে ভুক্তভোগী হতে পারে ইউক্রেনও। সদ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে শত শত কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে।
গত বছর, মার্কিন কংগ্রেস ইসরাইলি সরকার, ইউক্রেন এবং তাইওয়ানের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল সহায়তা প্যাকেজ পাস করেছে। ভবিষ্যতে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের জন্য কংগ্রেস কর্তৃক অনুমোদিত প্রায় ৩.৮৫ বিলিয়ন ডলার তহবিল রয়েছে এবং এটি ব্যয় করা হবে কিনা তা এখন ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।#
পার্সটুডে/এমএআর/২৫