বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত: দাবি বিজিবি প্রধানের
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত বলে দাবি করেছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
আজ (বৃহস্পতিবার) দিল্লিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং বিজিবির মহাপরিচালক পর্যায়ে ৫৫তম দ্বিবার্ষিক বৈঠকে তিনি এ দাবি করেন।
বৈঠকের পর বিএসএফ প্রধান দলজিৎ সিং চৌধুরীর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকি বলেন, “বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অতীতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত। আমরা দুর্গাপূজার সময় আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে পূজা প্যান্ডেলগুলোর নিরাপত্তা দিয়েছিলাম এবং সেই পূজা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।”
সীমান্তে বেড়া নির্মাণ ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের বিষয়ে তিনি বলেন, কোনও পক্ষেরই সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে স্থায়ী কাঠামো নির্মাণের অনুমতি নেই। ১৫০ গজের মধ্যে বেড়া দেওয়া হলে যোগাযোগের শূন্যতা দেখা দেয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আপত্তি জানিয়েছে এবং যথাযথ পরামর্শ ও পারস্পরিক আলোচনা হওয়া দরকার বলেও জানিয়ে দিয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রধান বলেন, “আমরা ভবিষ্যতে এই বিষয়টি সমাধান করার আশা করছি যাতে নো-ম্যানস ল্যান্ডে নির্মাণ কাজ করা যায়।”
তিনি বলেন, “বর্ডার এলাইনমেন্ট সংক্রান্ত ১৯৭৫ সালের ধারা পরিবর্তনের কোনও আলোচনা হয়নি। এটি এই বৈঠকে আলোচনা সম্ভব নয়। শূন্য রেখা থেকে কতটা পিছিয়ে বেড়া দিতে হবে, তা সবসময়ই আলোচনার অংশ। আমরা এই অবস্থানগুলোতে যৌথ পরিদর্শনের অনুরোধ করেছি।”
অন্যদিকে সীমান্তে নজরদারি ব্যবস্থা সম্পর্কে বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সীমান্ত পাহারা দেওয়ার জন্য আমরা যথেষ্ট ফোর্স পেয়েছি। একই সাথে আমাদের কাছে প্রযুক্তিগত উপায়ও রয়েছে, অত্যাধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা। আমরা আমাদের সিস্টেমের প্রতিটি এলাকায় নজর রাখছি যাতে আমরা সীমান্তে যেকোনও অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি।”
এর আগে বিএসএফ গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেছিল, সীমান্ত-সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে আলোচনা এবং সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও উন্নত করার জন্য এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। এই দ্বি-বার্ষিক আলোচনার সর্বশেষ আয়োজনটি গত বছরের মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।#
পার্সটুডে/এমএআর/২০