গাজা থেকে ইসরাইলি হামলায় নিহত অন্তত ৭০০ মানুষের লাশ উদ্ধার
(last modified Fri, 28 Feb 2025 09:51:52 GMT )
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫ ১৫:৫১ Asia/Dhaka
  • গাজা থেকে ইসরাইলি হামলায় নিহত অন্তত ৭০০ মানুষের লাশ উদ্ধার

গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থান থেকে ৭০০টির বেশি মরদেহ উদ্ধারের খবর দিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স। এটি বলেছে, বেশিরভাগ মরদেহ এত বেশি থেঁথলে গেছে যে, সেগুলো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ধসে পড়া ভবনগুলোর নীচ থেকে মরদেহ বের করার ভারী যন্ত্র যেমন নেই তেমনি এসব লাশের ডিএনএ টেস্ট করার মতো প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরিরও অভাব রয়েছে।

পরিস্থিতিকে ভয়াবহ হিসেবে বর্ণনা করে বাসাল বলেন, এখন ১০ হাজারের বেশি মানুষ গাজার ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলোর নীচে চাপা পড়ে রয়েছে। প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে সেসব লাশ উদ্ধারের তৎপরতা স্থগিত রাখতে হচ্ছে। গাজাবাসী ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশা দূর করতে অনতিবিলম্বে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

গাজার সিভিল ডিফেন্স শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি সেগুলোকে দাফন করার জন্য ‘অজ্ঞাত কবরস্থান’ নামক একটি গোরস্থানে দাফন করছে।

বাসাল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যেসব দেহাবশেষ পাওয়া গেছে তার বেশিরভাগই এতটা বিকৃত হয়ে গেছে যে, তাদের স্বজনদের পক্ষেও সেগুলো শনাক্ত করা সম্ভব নয়।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত একটানা প্রায় ১৬ মাস গাজা উপত্যকার ওপর হাজার হাজার টন বোমা নিক্ষেপ করে ইহুদিবাদী ইসরাইল। বিশ্বমোড়ল আমেরিকার সরবরাহ করা এসব বোমা দিয়ে উপত্যকাটিকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা হয়।

১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর বেঁচে যাওয়া গাজাবাসী হন্যে হয়ে তাদের হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের খুঁজে ফিরছেন। জীবিত না হোক অন্তত মৃত স্বজনের মরদেহটি দাফন করতে পারলেও তারা নিজেদের সান্ত্বনা দিতে পারতেন। কিন্তু গাজার সিভিল ডিফেন্স জানাল, গাজাবাসীর সেই শেষ আশাটুকু পর্যন্ত পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।#

পার্সটুডে/এমএমআই/২৮