১০ মে'র পরও অপারেশন সিঁদুর চলেছে-সেনাপ্রধান: নিয়ন্ত্রণরেখায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা
https://parstoday.ir/bn/news/event-i151724-১০_মে'র_পরও_অপারেশন_সিঁদুর_চলেছে_সেনাপ্রধান_নিয়ন্ত্রণরেখায়_অনুপ্রবেশের_চেষ্টা
ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পরও সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করেনি পাকিস্তান বলে দাবি করলেন ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বললেন, সীমান্তে এখনও একইভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। সেনাপ্রধান বললেন, অপারেশন সিঁদুর (১০ মে) এখনও শেষ হয়নি। ১০ মের পরও অনেক দিন সবার অলক্ষ্যে লড়াই চলেছে।
(last modified 2025-09-06T11:00:51+00:00 )
সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৫ ১৬:৫৫ Asia/Dhaka
  • মোদি অস্বস্তিতে-সেনাপ্রধানের বক্তব্যে
    মোদি অস্বস্তিতে-সেনাপ্রধানের বক্তব্যে

ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পরও সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করেনি পাকিস্তান বলে দাবি করলেন ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বললেন, সীমান্তে এখনও একইভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। সেনাপ্রধান বললেন, অপারেশন সিঁদুর (১০ মে) এখনও শেষ হয়নি। ১০ মের পরও অনেক দিন সবার অলক্ষ্যে লড়াই চলেছে।

'অপারেশন সিঁদুর, দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ ইন্ডিয়াস ডিপ স্ট্রাইক ইনসাইড পাকিস্তান শুক্রবার এই শীর্ষক একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী অপারেশন সিঁদুর চাঞ্চল্যকর এ তথ্য ফাঁস করলেন।

তিনি বলেন, হয়তো ভাবছেন যে ১০মে যুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু না, এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে। বলা ভালো, অপারেশন সিঁদুর শেষ হওয়া বেশিদিন হয়নি। অনেক কিছু এখানে বলা সম্ভব নয়।”

সেনাপ্রধান আরও বলেন, নিয়ন্ত্রণরেখায় অপারেশন সিঁদুরের ঠিক কতটা প্রভাব পড়েছে, সেটা এখনও খতিয়ে দেখার সময় আসেনি। এখনই সিঁদুরের প্রভাব বা সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করাটা বেশ দুরূহ। পাকিস্তানের নাম না করেই উপেন্দ্র দ্বিবেদী দাবি করেন, “অপারেশন সিঁদুরের পর রাষ্ট্রের মদতে সন্ত্রাস বন্ধ হয়েছে, তেমনটা নয়। কারণ এখনও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছেই। আর আমরা জানি ক’জন জঙ্গি মারা পড়েছে, আর কজন ধরা পড়েছে।”

সেনাপ্রধান একরকম স্বীকার করেছেন, অপারেশন সিঁদুরের পরও সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি। যা মোদি সরকারের জন্য অস্বস্তিকর। তাছাড়া পহেলগাঁও হামলার পর কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, এরপর যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে যুদ্ধাপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হবে।কিন্ত বিশ্লকদের  প্রশ্ন , পাকিস্তান যদি সত্যিই সন্ত্রাসে মদত দিয়ে থাকে, তাহলে সরকার কি যুদ্ধপ্রস্তুতি নেবে?

উল্লেখ্য,  ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় কাশ্মীরের স্থানীয় এক জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পিওকে-র নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। পাল্টাপাল্টি হামলা হতে থাকে। এরপর আমেরিকার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়।

পার্সটুডে/জিএআর/৫