বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর ছোট ভাই চাকরি পেলেন বিজিবিতে
https://parstoday.ir/bn/news/event-i152104-বিএসএফের_গুলিতে_নিহত_ফেলানীর_ছোট_ভাই_চাকরি_পেলেন_বিজিবিতে
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরফান হোসেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবিতে চাকরি পেয়েছেন।
(last modified 2025-09-18T11:38:25+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫ ১৭:২৩ Asia/Dhaka
  • ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরফান হোসেন
    ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরফান হোসেন

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরফান হোসেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবিতে চাকরি পেয়েছেন।

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে লালমনিরহাটে ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, 'গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আরফান নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। আজ তাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হলো। বিজিবি সব সময় ফেলানীর পরিবারের পাশে রয়েছে। আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষে আরফান একজন যোগ্য সীমান্তরক্ষী হয়ে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে।'

আরফান কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনটারী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা নুর ইসলাম দিনমজুর ও মা জাহানারা বেগম গৃহিণী। পরিবারের অন্য দুই ভাইয়ের মধ্যে জাহান উদ্দিন স্নাতক পড়ছেন এবং আক্কাস আলী পড়ছেন এইচএসসিতে।

ছেলের চাকরিতে গর্বিত বাবা নুর ইসলাম বলেন, 'খুব কষ্টে সংসার চলছিল। বিজিবি আমাদের সব সময় খোঁজখবর নিয়েছে। ছেলেটা চাকরি পাওয়ায় আমি গর্বিত। ২০১১ সালে ফেলানীকে হারিয়েছি, আজও ভুলতে পারি না। মেয়ের মুখ মনে পড়লে এখনো কাঁদি।'

মা জাহানারা বেগম বলেন, 'ছেলেটা চাকরি পাওয়ায় সংসারের কষ্ট কিছুটা কমবে। তবে সবার বড় ছিল ফেলানী। তার বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। বিএসএফ তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।'

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী। তার নিথর দেহ কাঁটাতারের বেড়ায় দীর্ঘ সাড়ে চার ঘণ্টা ঝুলে ছিল। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে।#

পার্সটুডে/জিএআর/১৮