ইয়েমেনে সৌদি-আমিরাতি যুদ্ধকে 'দুই দখলদারের লড়াই' বলল আনসারুল্লাহ
https://parstoday.ir/bn/news/event-i155000-ইয়েমেনে_সৌদি_আমিরাতি_যুদ্ধকে_'দুই_দখলদারের_লড়াই'_বলল_আনসারুল্লাহ
ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ প্রতিরোধ আন্দোলনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, সৌদি সমর্থিত পলাতক সরকারের বাহিনী এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সহযোগী সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এসটিসি)-এর মধ্যে তেলসমৃদ্ধ হাদরামাউত প্রদেশে চলা সংঘর্ষ আসলে 'দুই দখলদারের লড়াই'।
(last modified 2025-12-11T12:40:12+00:00 )
ডিসেম্বর ১১, ২০২৫ ১৮:৩৫ Asia/Dhaka
  • ইউএই-সমর্থিত এসটিসির যোদ্ধারা তথাকথিত প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদের বাইরে পাহারায় দাঁড়িয়ে আছে। (ছবি: রয়টার্স)
    ইউএই-সমর্থিত এসটিসির যোদ্ধারা তথাকথিত প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদের বাইরে পাহারায় দাঁড়িয়ে আছে। (ছবি: রয়টার্স)

ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ প্রতিরোধ আন্দোলনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, সৌদি সমর্থিত পলাতক সরকারের বাহিনী এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সহযোগী সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এসটিসি)-এর মধ্যে তেলসমৃদ্ধ হাদরামাউত প্রদেশে চলা সংঘর্ষ আসলে 'দুই দখলদারের লড়াই'।

আনসারুল্লাহর মিডিয়া ব্যুরোর উপ-পরিচালক নাসরুদ্দিন আমের আজ (বৃহস্পতিবার) এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “যারা বলছে- হাদরামাউতের ঘটনার বিষয়ে সানাভিত্তিক সরকারের স্পষ্ট অবস্থান নেই, তাদের কথায় আমরা বিস্মিত। আমাদের অবস্থান একদম স্পষ্ট।”

তিনি বলেন, "হাদরামাউত, এডেন, আল-মাহরা ও সোকোত্রা অঞ্চলে চলা সংঘর্ষ মূলত সৌদি নেতৃত্বাধীন দখলদারিত্বের ফল। ২০১৫ সাল থেকে এই অঞ্চলগুলো সৌদি সমর্থিত ও ইউএই-সমর্থিত মিলিশিয়ার দখলে রয়েছে। সানা’ সরকার এগুলো মুক্ত করে ইয়েমেনের সার্বভৌমত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।"

এসটিসি ও সৌদি-সমর্থিত প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের (পিএলসি) মধ্যে সাম্প্রতিক লড়াইকে 'দুই দখলদারের প্রক্সি-বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ' হিসেবে বর্ণনা করে আমের বলেন, “এ ধরনের সংঘর্ষ বন্ধ করতে হবে। এটা স্বাভাবিক”

তিনি আরও বলেন, “কিছু গোষ্ঠী আনসারুল্লাহকে ইউএই-সমর্থিত বাহিনীর পাশে দাঁড়াতে বলেছে, আবার কেউ সৌদি-সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বলেছে। এটা অযৌক্তিক ও অবাস্তব। যারা সানা’র হস্তক্ষেপ চাইছে তারা কখনও দখলদারদের বিতাড়নের দাবি তোলে না।”

আমের বলেন, “আমরা ইয়েমেনের সব জনগণের পাশে আছি। চলমান সংঘর্ষ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো দেশের সাধারণ মানুষ, অর্থনীতি ও নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে।”

২০১৫ সাল থেকে সৌদি-নেতৃত্বাধীন এবং মার্কিন সমর্থিত যুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাতও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। একই সাথে সৌদি আরব ও ইউএই ইয়েমেনের সম্পদ ও বন্দর দখলের প্রতিযোগিতায় জড়িত। বিশ্লেষকরা মনে করেন, স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের আড়ালে আসলে ক্ষমতার লড়াই চলছে, যেখানে হাদরামাউত একটি মূল সংঘাতমঞ্চ।

আনসারুল্লাহ উত্তর-পশ্চিম ইয়েমেন ও রাজধানী সানা’তে শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছে। তারা গাজা ও লোহিত সাগরে ইসরায়েল সম্পর্কিত কার্যক্রমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নজর কাড়ছে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সানা’তে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে সাধারণ মানুষও মারা গেছে।#

পার্সটুডে/এমএআর/১৩