অসমে মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্তে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন মুসলিমরা
ভারতের বিজেপিশাসিত অসমে সরকারি মাদ্রাসা বন্ধে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে গুয়াহাটি হাইকোর্ট বহাল রাখায় মুসলিমরা এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।
গত (শুক্রবার) মুখ্য বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও বিচারপতি সৌমিত্র শইকিয়ার সমন্বিত বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রায় দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আজ (রোববার) নাদওয়াতুত তামীর সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র এবং অসমের সাবেক বিধায়ক আতাউর রহমান মাজারভুঁইয়া রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘আমাদের যে কমিটি আছে তাতে হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হাফিজ রশিদ চৌধুরীও আছেন। আগামী ১২ তারিখ আমরা মিটিং ডেকেছি, সেখানে বসে আলোচনার ভিত্তিতে আইনি দিক খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবো ইনশাআল্লাহ্। প্রয়োজনে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারি।’
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে যারা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন তাদের অন্যতম আইনজীবী এআর ভুঁইয়া বলেছেন, আবেদন জানানোর অধিকার সকলের রয়েছে। তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়কে তারা সম্মান করেন। হাইকোর্ট বলেছে, যেহেতু মাদ্রাসাগুলো প্রাদেশিকৃত সেজন্য এসব প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা চলতে পারে না। তিনি বলেন, সরকার প্রণীত আইনকে চ্যালেঞ্জ করা আবেদনকারীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভেবে দেখছেন। ‘আবেদন জানানোর অধিকার যেহেতু আমাদের আছে সেজন্য সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার চেষ্টা নিশ্চয়ই করব।’
অন্যদিকে, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল দেবজিৎ শইকিয়া বলেছেন, মাদ্রাসা বন্ধের আইনকে বৈধ বলে সিলমোহর দিয়েছে হাইকোর্ট। ওই আইন রূপায়ণের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারি মাদ্রাসাগুলোকে সাধারণ স্কুলে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। এসব সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েছে হাইকোর্ট।
অসমের বিজেপি নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় নিশ্চিতভাবে ‘ঐতিহাসিক’। তিনি বলেন, সরকারি মাদ্রাসাগুলো সাধারণ স্কুলে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে মনে দুঃখ পয়ে কয়েকজন লোক রিপিলিং অ্যাক্ট ২০২০কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেছিলেন। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই বলেই রায় দিয়েছে আদালত। স্বভাবতই এই রায় ঐতিহাসিক। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/ আবুসাঈদ/০৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।