রামপুরহাটের ঘটনায় কোনও তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা যাবে না: হাইকোর্ট
(last modified Wed, 23 Mar 2022 13:13:01 GMT )
মার্চ ২৩, ২০২২ ১৯:১৩ Asia/Dhaka
  • হাইকোর্ট
    হাইকোর্ট

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রামপুরহাটের সহিংস ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেস ডায়েরি পেশের নির্দেশ দিয়েছে কোলকাতা হাইকোর্ট। আজ (বুধবার) ওই ইস্যুতে একাধিক মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব জানান আগামী বৃহস্পতিবারই কেস ডায়রি নিয়ে আসতে হবে রাজ্যকে। কোনও তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা যাবে না।

হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের সমন্বিত বেঞ্চের নির্দেশ, তদন্ত দ্রুত করে সত্য সামনে আনতে হবে। একটা সুযোগ রাজ্যকে দেওয়া হবে। তদন্তসহ কেস ডায়েরির রিপোর্ট জমা করতে হবে কোর্টে। নিশ্চিত করতে হবে, ওই জায়গার কোনও তথ্য নষ্ট হয়নি।

গণমাধ্যমে প্রকাশ, পশ্চিমবঙ্গের রামপুরহাটে গত (সোমবার) দিবাগত রাতে ভাদু শেখ নামে এক তৃণমূল নেতা নিহত হওয়াকে কেন্দ্র করে একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও সহিংস ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সরকারি হিসাবে ৮ জনের মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে। বিরোধীরা অবশ্য ১২ জন নিহত হওয়ার কথা বলছেন। তারা ওই ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলে মন্তব্য করেছে।   

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ (বুধবার) ওই ইস্যুতে বলেন,   ‘সরকারটা আমাদের। আমরা কী কখনও চাই কোথাও কেউ বোমা মারুক? কারা করে? যারা সরকারে থাকে না, সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করার জন্য এই চক্রান্তগুলো করে আমাদের বিরুদ্ধে, যাতে আমাদের বদনাম হয়।’  

তিনি বলেন, ‘রামপুরহাটে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কেউ ছাড় পাবে না। গতকাল আমি খবর পাওয়ার সাথে সাথে কমপক্ষে ৫০ বার রামপুরহাটে ফোন করেছি। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওসি, এসডিপিওকে সরিয়ে দিয়েছি। আমরা আইবি, ডিআইবি তাদেরও বলেছি সরিয়ে দিতে। আমরা বিশেষ তদন্ত টিম (সিট) গঠন করেছি। আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে  পাঠিয়েছিলাম। আগামীকাল আমি নিজেও যাবো।’   

মমতা বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আসলে কী জানেন তো দাঙ্গা করতে পারছে না। লোকে খেতে পারছে না, এ কথা বলতে পারছে না, মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছে না, এ কথা বলতে পারছে না, বাচ্চারা মিড ডে মিল পাচ্ছে না, এ কথা বলতে পারছে না, মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না, এ কথা বলতে পারছে না। তাই ধরে নিয়ে এসে খুব সহজেই  একটা দেশলাই জ্বালিয়ে দেওয়া তাই না? আমি জানি যারা চক্রান্ত করে তাদের কোনও জুড়ি নেই। কিন্তু তারা বোঝে না, অন্যের ঘরে দেশলাই লাগালে দেশলাইটা কখনও উড়ে এসে নিজের ঘরেও পড়তে পারে। উপরের দিকে থুতু ফেললে সেটা নিজের গায়েও লাগে এটা মাথায় রাখতে হবে।’  

বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে টার্গেট করে তিনি বলেন, ‘এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়, তাহলে মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে? কালও দেখেছেন, গ্যাসের দাম, ডিজেলের দাম, পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো যাতে কেউ বলতে না পারে সেজন্য হঠাৎ করে একটা ঘটনা ঘটিয়ে দিচ্ছে!’  

এ দিকে, রামপুরহাট ইস্যুতে আজ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা বলছি ওই ঘটনার পিছনে বড় ষড়যন্ত্র হয়েছে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার জড়িত এবং সেসব নেতাদের জেলে পাঠাতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রীর আদরের ভাই বলে তারা বেঁচে যাবেন ১২ জন মানুষকে হত্যা করে এটা চলতে দেওয়া যেতে পারে না’ বলেও মন্তব্য করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/আবুসাঈদ/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ