মহানবী (সা.)'র বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সহিংসতায় ঝাড়খণ্ডে নিহত ২
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিয়ে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার করা বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে ভারতের ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপ নিলে মুদাসসার ও শাহিল নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
হিন্দি গণমাধ্যম ‘ভাস্কর’ সূত্রে প্রকাশ, শুক্রবারের সহিংসতায় এ পর্যন্ত দুই যুবকের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। নিহতদের নাম মুদাসসার (২২) ও শাহিল (২৪)। ওই ঘটনায় ২৫ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে ‘রিমস’-এ কমপক্ষে ১২ জন ভর্তি রয়েছেন। একইসঙ্গে সদর হাসপাতালে ১০/১২ জনের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। আহত হওয়া রাঁচির পুলিশ কর্মকর্তা এসএসপি’র চিকিৎসা চলছে মেডিকেলে।
‘জনসত্তা’ সূত্রে প্রকশ, শুক্রবার জুমা নামাজের পর বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ আন্দোলন মুহূর্তের মধ্যে সহিংস হয়ে ওঠে। উত্তেজিত জনতার অগ্নিসংযোগ ও পাথর নিক্ষেপের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়। ওই সহিংসতায় এ পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন সহিংসতা কবলিত এলাকায় কারফিউ জারি করেছে। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময়ে রাঁচিতে, বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর উপর পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এ সময়ে পাথর নিক্ষেপকারী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়।
রাঁচির এসএসপি সুরেন্দ্র ঝা, অন্য এক অফিসার এবং বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন পরে মেইন রোড এলাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। রাঁচি’র এসপি (গ্রামীণ) নওশাদ আলম বলেন, ‘রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে ভর্তি করা ১২ জন পাথর ছোঁড়া এবং ছররার আঘাতে আহত হয়েছে।’ রাঁচিতে সহিংসতার পরে রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে নিয়ে আসা আহতদের মধ্যে দু’জন চিকিৎসার সময় মারা যান বলে ‘রিমস’ কর্মকর্তারা জানান।
ঝাড়খণ্ড পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতায় ১১ পুলিশকর্মী ও ১২ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সহিংসতা কবলিত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেছেন সহিংসতার এই ঘটনাটি খুবই উদ্বেগজনক। তিনি জনগণকে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করেছেন। যারা সহিংসতায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন মন্তব্য করেছেন।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমআরএইচ/১১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।