সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষা দিবস:
অধিকার রক্ষার দাবিতে সোচ্চার ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’
ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দাবিতে ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’ সোচ্চার হয়েছে। আজ (রোববার) সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষা দিবস উপলক্ষে সংগঠনটির পক্ষ থেকে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে আজ ‘ফ্রন্টপেজ অ্যাকাডেমি’তে একটি সম্মেলনে বক্তারা সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে আলোকপাত করেন। মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমান সময়ে দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষা করার পরিবর্তে সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য ‘মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপ’ বন্ধ করে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সংবিধানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা প্রসারে নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি ও পরিচালনার অধিকার দেওয়া হলেও বিজেপিশাসিত বিভিন্ন রাজ্যে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আজ এই সংখ্যালঘু অধিকার সুরক্ষা দিবসে শপথ নিতে হবে যে, কোথাও কোনভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারের উপর আঘাত এলে দেশের সংবিধান মেনে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে গণতান্ত্রিক উপায়ে লড়াই আন্দোলন করতে হবে।’
এ নিয়ে আজ (রোববার)সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘প্রত্যেক বছর এই দিনে সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষার বিষয়ে সোচ্চার হয় সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন। সংখ্যালঘুদের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ধারাবাহিকভাবে অসম্মান করা, ধর্মীয় স্থানের প্রতি আঘাত হানার পাশাপাশি ছাত্র সমাজকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সংখ্যালঘু ছাত্র বৃত্তি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়া উচ্চ শিক্ষার জন্য যে ‘মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপ’ দেওয়া হতো, সেটাও এবছর থেকে বন্ধ করার ঘোষণা করা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষা দিবসের কিছুদিন আগে। কেন্দ্রীয় সরকার একেরপর এক সংখ্যালঘুদের অধিকারের উপরে হস্তক্ষেপ করছে। অসমে বিজেপি সরকার মাদ্রাসাগুলোকে বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ স্কুলে পরিণত করেছে। মাদ্রাসা বোর্ড এবং শিক্ষা দফতরটিও তারা বিলুপ্ত করেছে। এসবের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার হয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, কেন্দ্রীয় সরকার ‘মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপ’ তুলে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবং প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সংখ্যালঘু বৃত্তি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবো। এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে জানানো হবে এবং রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে যাতে এগুলো বহাল রাখা হয়।’
আজ সংখ্যালঘু অধিকার সুরক্ষা সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সহ-সম্পাদক ও শিক্ষক আলি আকবর, সহ-সম্পাদক হাফেজ নাজমুল আরেফীন, সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান, কোষাধ্যক্ষ বাবর হোসেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক মাওলানা এলাহি বক্স, সংখ্যালঘু কাউন্সিলের সহ-সভাপতি ডাঃ মনিরুল ইসলাম, গোলাম রহমান, শিক্ষক আব্দুর রহমান, শিক্ষক হাসানুজ্জামান, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক ডাঃ তৈয়েবুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলা ও ব্লক নেতৃবৃন্দ।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এনএম/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।