ভারতে ৬ বছরে ২৪৫ কোটি টাকার জাল নোট বাজেয়াপ্ত  
(last modified Wed, 04 Jan 2023 13:22:46 GMT )
জানুয়ারি ০৪, ২০২৩ ১৯:২২ Asia/Dhaka
  • ভারতে ৬ বছরে ২৪৫ কোটি টাকার জাল নোট বাজেয়াপ্ত  

ভারতে ৬ বছরে ২৪৫ কোটি টাকার বেশি জাল নোট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।  

কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৬ সালে ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট বাতিল করেছিল। সরকারের ওই সিদ্ধান্তের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল জাল নোটের সমস্যা দূর করা। কিন্তু ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’র রিপোর্টে প্রকাশ- ২০১৬ সাল থেকে সারা দেশে আইন   প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ২৪৫.৩৩ কোটি টাকার জাল নোট বাজেয়াপ্ত করেছে।  ২০২০ সালে সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯২.১৭ কোটি টাকার জাল নোট জব্দ করা হয়েছিল, যেখানে ২০১৬ সালে সর্বনিম্ন পরিমাণ ১৫.৯২ কোটি টাকা জব্দ করা হয়। রিপোর্টে প্রকাশ- ২০২১ সালে ২০.৩৯ কোটি টাকার জাল নোট জব্দ করা হয়েছিল, যেখানে ২০১৯ সালে ৩৪.৭৯ কোটি টাকা, ২০১৮ সালে ২৬.৩৫ কোটি টাকা এবং ২০১৭ সালে ৫৫.৭১ কোটির জাল নোট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

২০২২ সালের মে মাসে প্রকাশিত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) বার্ষিক রিপোর্টে প্রকাশ- ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ব্যাঙ্কগুলোর দ্বারা শনাক্ত করা ৫০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে ৭৯,৬৬৯-এ দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালে ২০০০ টাকার ১৩,৬০৪টি জাল নোট ধরা পড়ে, যা আগের আর্থিক বছরের তুলনায় ৫৪.৬ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ সালে হ্রাসের পরে  ব্যাঙ্কগুলোর দ্বারা শনাক্ত হওয়া মোট জাল নোটের সংখ্যা আগের আর্থিক বছরে ২,০৮,৬২৫ থেকে বেড়ে ২,৩০,৯৭১-এ দাঁড়িয়েছে।

২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সে সময়ে বলা হয়েছিল জালনোটের কারবার বন্ধ করা, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের আর্থিক উৎস আটকানো, ডিজিটাল অর্থনীতির প্রসারই হল নোট বাতিলের উদ্দেশ্য। কিন্তু নোট বাতিলের ছ’বছর পার করার পর দেখা যাচ্ছে, ২০১৬  সালের তুলনায় বাজারে নগদের উপস্থিতি প্রায় ৮৩ শতাংশ বেড়েছে। 

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর  বাজারে নগদের আর্থিক অঙ্ক ছিল ১৭.৭৪ লাখ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর তা  বেড়ে হয়েছে ৩২.৪২ লাখ কোটি। অর্থাৎ, দ্বিগুণের কিছু কম। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থায় ডিজিটাল লেনদেনের ভাগ ছিল ১১.২৬ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা বেড়ে ৮০.৪ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে ছোট ব্যবসা, মুদির দোকান, রেস্তরাঁসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে নগদে লেনদেন এখনও জনপ্রিয় রয়েছে। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ