কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপি গণতন্ত্রের ভিত্তি ধ্বংস করতে চায়: পিনারাই বিজয়ন
https://parstoday.ir/bn/news/india-i118610-কেন্দ্রীয়_সরকারে_ক্ষমতাসীন_বিজেপি_গণতন্ত্রের_ভিত্তি_ধ্বংস_করতে_চায়_পিনারাই_বিজয়ন
ভারতের কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপি গণতন্ত্রের ভিত্তি ধ্বংস করতে চায়।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ ১৯:১১ Asia/Dhaka
  • কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপি গণতন্ত্রের ভিত্তি ধ্বংস করতে চায়:  পিনারাই বিজয়ন

ভারতের কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপি গণতন্ত্রের ভিত্তি ধ্বংস করতে চায়।

তিনি আজ (বুধবার) তেলেঙ্গানায় ‘বিআরএস’-আয়োজিত এক সভায় বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন। বিজয়ন বলেন, ‘আমরা একটি নতুন প্রতিরোধ শুরু করছি। আমাদের সমস্ত ‘মাতৃভাষা’কে বাদ দিয়ে ‘হিন্দি’কে জাতীয় ভাষা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে। আমাদের মাতৃভাষা বাদ দিয়ে হিন্দি চাপিয়ে দিলে জাতীয় অখণ্ডতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।   

ওই সভায় সমাজবাদী পার্টির সভাপতি ও উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেন, ‘যদি তেলেঙ্গানা থেকে বিজেপিকে নিশ্চিহ্ন করা হয়, তবে উত্তরপ্রদেশও পিছিয়ে থাকবে না। আপনারা নিজের রাজ্য তেলেঙ্গানা থেকে ওদের হটিয়ে দিন।  আমরা উত্তর প্রদেশে আমরা একসঙ্গে তাদের সরিয়ে দিতে কাজ করব।’  

তিনি বলেন, গতকাল বিজেপির নির্বাহী সভা শেষ হয়েছে, তারা বলেছে যে ৪০০ দিন বাকি আছে। আমরা ভাবতাম এই সরকারই যে দাবি করত সরবে না বলে,  কিন্তু এখন তারা নিজেরাই মেনে নিচ্ছে যে আর ৪০০ দিন বাকি আছে!   

অখিলেশ যাদব বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচিত সরকারকে সমস্যায় ফেলার অভিযোগ করে বলেন, আগামী নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত। ফ্যাসিবাদী মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলা নেতাদের হয়রানি করা কেন্দ্রীয় সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।  তেলেঙ্গানায়, ক্ষমতাসীন ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) খাম্মামে একটি জনসভার আয়োজন করেছিল। ওই সমাবেশে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের  পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি ও উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা ও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/ ১৮