মণিপুরে ফের বাড়ল ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ, ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর
(last modified Thu, 22 Jun 2023 04:35:52 GMT )
জুন ২২, ২০২৩ ১০:৩৫ Asia/Dhaka
  • মণিপুরে ফের বাড়ল ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ, ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর

ভারতে বিজেপিশাসিত মণিপুরে প্রতিনিয়ত বিক্ষিপ্ত সহিংসতার মধ্যে মণিপুর সরকার ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২৫ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

ওই ইস্যুতে আজ (বুধবার) কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা শশী থারুর। থারুর প্রশ্ন তুলেছেন কেন মণিপুরে দু’মাস ধরে ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ রাখা হয়েছে? 

তিনি বলেন, ‘ভারতে ব্যাঙ্কিং থেকে শুরু করে ই-গভর্নেন্স পর্যন্ত সমস্ত কাজের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। ভারত তার ইন্টারনেট প্রযুক্তি নিয়ে গর্বিত। তাহলে কেন মণিপুরে দু’মাস ধরে ইন্টারনেট পরিসেবা স্থগিত রাখা হয়েছে যেখানে সহিংসতার ঘটনায় কোনও প্রভাব পড়েনি? ইন্টারনেট বিধিনিষেধ তুলে নিতে হবে। সম্ভবত আমরা সর্বাধিক সংখ্যক বার এবং পৃথিবীতে দীর্ঘতম সময় ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার জন্য একটি বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছি।’  

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ মে রাতে মণিপুরে প্রথম সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এরপর গত ৪ মে ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিসেবা। প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কিছু মানুষ মণিপুর হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। রাজ্যে ইন্টারনেট পুনরুদ্ধারের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার মণিপুর হাইকোর্টের একজন কর্মকর্তা বলেন, একটি অন্তর্বর্তী আদেশে, হাইকোর্ট রাজ্য কর্তৃপক্ষকে রাজ্য কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় জনসাধারণের জন্য সীমিত ইন্টারনেট পরিসেবা প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছে। ওই বিষয়ে আগামী ২৩ জুন শুনানি হওয়ার কথা।

অন্যদিকে, মণিপুর সহিংসতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস। আজ (বুধবার) কংগ্রেস বলেছে, তিনি সঙ্কটের সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে মণিপুরকে উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। 

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক বার্তায় বলেন,  ‘প্রধানমন্ত্রীর  আমেরিকা সফরের সমস্ত খবরের মধ্যে, আসুন আমরা মনে করিয়ে দিই যে আজ মণিপুরে বেদনা, সঙ্কট ও যন্ত্রণার টানা ৫০তম দিন। কিন্তু দুঃখের কথা হল, প্রধানমন্ত্রী, যিনি অনেক বিষয়ে জ্ঞান দেন, তিনি রাষ্ট্রের এত বড় ট্র্যাজেডি নিয়ে একটি কথাও বলেননি! তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সময় চাইলেও তিনি সময় দেননি। তিনি এ সম্পর্কে কী করছেন বা তিনি ওই বিষয়ে উদ্বিগ্ন বা যত্নশীল কী না সে সম্পর্কেও কোনও ইঙ্গিত দেননি বলেও মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।            

পার্সটুডে/এমএএইচ/২১ 

   বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ