ভারতে ৭ রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি ও ভুমিধসে একদিনে ৫৬ জনের মৃত্যু
(last modified Mon, 10 Jul 2023 11:09:08 GMT )
জুলাই ১০, ২০২৩ ১৭:০৯ Asia/Dhaka
  • ভারতে ৭ রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি ও ভুমিধসে একদিনে ৫৬ জনের মৃত্যু

ভারতে দিল্লি, পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশসহ দেশের উত্তরাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে প্রবল বৃষ্টির কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি, ভূমিধস ও অন্যান্য কারণে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

হিমাচল প্রদেশের মানালিতে ৫২ বছরের বৃষ্টির রেকর্ড ভেঙেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জনগণকে আগামী ২৪ ঘণ্টা বাসায় থাকতে  বলেছেন। রাজ্যের অনেক নদীর পানি বিপদসীমার উপরে রয়েছে।

দিল্লিতে যমুনা নদীর পানিরস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন- আমাদের সিস্টেম এমন বৃষ্টির জন্য তৈরি হয়নি। এ সময়ে সব রাজ্যকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দিল্লিতে বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই ১৬টি কন্ট্রোল রুম খুলেছে ‘আপ’ সরকার। সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যমুনা তীরবর্তী নিচু জায়গা থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবন্দ কেজরিওয়াল।

এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরিস্থিতি নিয়ে সিনিয়র মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দেশের কিছু অংশে অত্যধিক বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছেন। আজ (সোমবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পিএমও-এর তরফে বলা হয়েছে, প্রশাসন এবং ‘এনডিআরএফ’ও ‘এসডিআরএফ’-এর টিমগুলো উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে।

আজ ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এক বার্তায় বলেছেন, ‘হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড এবং অন্যান্য উত্তর ভারতীয় রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের কারণে প্রাণহানির খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি সমস্ত শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। সমস্ত কংগ্রেস কর্মীদের ত্রাণ কাজে প্রশাসনকে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আমাদের সবাইকে একসাথে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।’  

বন্যা পরিস্থিতি, ভূমিধস ও অন্যান্য কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর প্রদেশে ৩৪,  হিমাচলে ৭, উত্তরাখণ্ডে ৬, জম্মু-কাশ্মীরে ৪, পাঞ্জাবে ৩, রাজস্থানে ১, এবং দিল্লিতে ১ জন মারা গেছে। উত্তর প্রদেশের ত্রাণ কমিশনার জিএস নবীন কুমারের মতে, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় বজ্রপাতে ১৭ জন, পানিতে ডুবে ১২ জন এবং ভারী বৃষ্টির কারণে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

হিমাচল প্রদেশে চলতি মৌসুমে বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে এ পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিমাচলের ন্যাশনাল হাইওয়ে এবং লিংক রোডসহ মোট ১৩০০টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঞ্জাবে আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত সমস্ত সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত এবং বেসরকারি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।    

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/৯     

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ