নেতানিয়াহুর ফোন, ফের ইসরাইলের পাশে থাকার অঙ্গীকার মোদীর
https://parstoday.ir/bn/news/india-i129234-নেতানিয়াহুর_ফোন_ফের_ইসরাইলের_পাশে_থাকার_অঙ্গীকার_মোদীর
ফিলিস্তিন ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
(last modified 2025-11-11T14:44:42+00:00 )
অক্টোবর ১১, ২০২৩ ১৫:২৭ Asia/Dhaka
  • নেতানিয়াহুর ফোন, ফের ইসরাইলের পাশে  থাকার অঙ্গীকার মোদীর

ফিলিস্তিন ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

গতকাল (মঙ্গলবার) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় বিষয়টি জানিয়ে বলেছেন, ‘ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন করে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।’ একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বার্তা- ‘পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানোর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ দিয়েছি। জানিয়েছি, এই কঠিন সময়ে ভারতবাসী দৃঢ়ভাবে ইসরাইলের পাশে রয়েছে। ভারত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সমস্ত ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করছে।’

প্রসঙ্গত, গত (শনিবার) ইহুদিবাদী ইসরাইলে হামাসের রকেট হামলার পরেই ইসরাইলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আমরা ইসরাইলের পাশে রয়েছি বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। একইভাবে গতকাল (মঙ্গলবার) তিনি ফের জানিয়ে দিয়েছেন, এই কঠিন সময়ে ভারতবাসী দৃঢ়ভাবে ইসরাইলের পাশে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এভাবে ভারতীয় পররাষ্ট্র নীতির ঐতিহ্য অগ্রাহ্য করে সরাসরি দখলদার ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।      

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন বার্তাকে স্বাগত জানানো হয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের পক্ষ থেকে। মুম্বাইয়ে সে দেশের কনস্যুলেট জেনারেল কোব্বি শোশানি বলেছেন, নরেন্দ্র মোদীর মতো নেতা যখন ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দেন, তা দেশকে অনেক শক্তি জোগায়৷  

তার কথায়, 'ভারতের থেকে আমরা যে বন্ধুত্ব, সাহায্য পাচ্ছি তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের নৈতিক সমর্থন আমাদের প্রয়োজন৷ বিশ্বের অন্য গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে যখন প্রধানমন্ত্রী মোদীর মতো নেতাও এই কঠিন সময়ে ইসরাইলের পাশে এসে দাঁড়ান তখন তা আমাদের শক্তি জোগায়৷' ইসরাইলে থাকা ভারতীয়রা দেশে ফিরতে চাইলে তাদের সবরকম সাহায্য করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দিয়েছেন৷    

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ইজ়রায়েল সফরের সময় থেকেই মোদীর সঙ্গে নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। প্রকাশ্যে মোদীকে ‘দোস্ত’ বলেও সম্বোধন করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে, ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বলেছেন,‘স্বাধীন এবং সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি ন্যায্য বলেই আমরা মনে করি। কংগ্রেস চায় আলোচনার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের আমজনতার সেই বৈধ আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হোক।’

ফিলিস্তিন ইস্যুতে ভারতের অবস্থানের সঙ্গে একমত নন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ। গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালমান খুরশিদ বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনে শান্তির জন্য ভারতের প্রচেষ্টা চালানো উচিত ছিল। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন সম্পর্কিত আমাদের ঐতিহাসিক রেকর্ড ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এটি পরিবর্তিত হয়েছে। আমি মনে করি মিশর, কাতার এবং অনেক দেশ শান্তির জন্য চেষ্টা করছে কিন্তু ভারত এই প্রচেষ্টায় কোথাও নেই। আমি এতে হতাশ হয়েছি।’ 

প্রধানমন্ত্রী তার বিবৃতিতে ইসরাইলকে সমর্থন করলেও ফিলিস্তিনের কথা উল্লেখ করেননি। এ প্রসঙ্গে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী সালমান খুরশিদ বলেন, 'আজ বিশ্বে আমরা যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি তা খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং সেগুলো নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। তবে সেসব বিষয়ে আমরা আমাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারি। কিন্তু সরকার যদি কংগ্রেস সরকারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা না নিতে চায় তাহলে আমরা কিছুই করতে পারব না। আমি বিশ্বাস করি যে প্রত্যেক পরিস্থিতিতে আমাদের ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত’ বলেও মন্তব্য করেন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমআরএইচ/ ১১