প্রাণ বাঁচাতে ফের ভারতে আশ্রয় নিল ২৯ মিয়ানমার সেনা সদস্য, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ নয়াদিল্লীর
(last modified Fri, 17 Nov 2023 09:26:03 GMT )
নভেম্বর ১৭, ২০২৩ ১৫:২৬ Asia/Dhaka
  • ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি
    ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি

মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী বিরোধী গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে সেখান থেকে আরও ২৯ জন সেনা সদস্য পালিয়ে ভারতের মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এ পর্যন্ত মোট ৭৪ জন মিয়ানমার সেনা মিজোরামে পালিয়ে এসেছে। এর মধ্যে কিছু সেনা সদস্যকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে।

এদিকে, মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লী। গতকাল (বৃহস্পতিবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘আমাদের সীমান্তের কাছে এ ধরণের ঘটনা নিয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। মায়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। আমরা সহিংসতার অবসান চাই। আমরা গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার বা সমাধানের কথা বলি। আমরা মায়ানমারে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের জন্য আমাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি।’

তিনি আরও বলেন, মায়ানমারে সংঘাত শুরু হয় ২০২১ সালে। এরপর থেকে মায়ানমারের বিপুল সংখ্যক নাগরিক ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে মায়ানমার সীমান্ত থেকে ভারতীয় রাজ্যগুলোর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মানবিক কারণে পরিস্থিতি যথাযথভাবে সামাল দিচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, গত (মঙ্গলবার) দুপুরে ৩৯ জন, একইদিনে সন্ধ্যায় আরও ৪ জন এবং  (বুধবার) সকালে ২ সেনা সদস্য মিয়ানমার থেকে পালিয়ে মিজোরামে প্রবেশ করে আত্মসমর্পণ করলে আধাসামরিক বাহিনী অসম রাইফেলস তাদের গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয়। এসব ঘটনার পর এবার ফের ২৯ জন মিয়ানমার সেনা সদস্য ভারতের মিজোরামে পালিয়ে এসেছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (সদর দফতর) লালবিয়াকাথাং খিয়াংতে বলেছেন, তারা আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের চিন রাজ্যের তুইবুয়ালে অবস্থিত তাদের ক্যাম্প থেকে এখানে পালিয়ে এসেছে।

এদিকে, জানা গেছে, ভারতের মিজ়োরামের সঙ্গে মিয়ানমারের স্থলসীমান্ত প্রায় ৫১০ কিলোমিটার। গত ৭ নভেম্বর বিধানসভার নির্বাচন পর্ব শেষ হলেও এখনও ভোটগণনা হয়নি মিজ়োরামে। এই পরিস্থিতিতে বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর আগমনে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন।

মিজ়োরাম ছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং সহিংসতা কবলিত মণিপুরের সঙ্গেও মিয়ানমারের স্থলসীমান্ত রয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার নজরদারিতে নিযুক্ত সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ‘বিএসএফ’ এবং অসম রাইফেলস বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর।#   

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/১৭  

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

 

ট্যাগ