ডিসেম্বর ০২, ২০২৩ ১৬:২৬ Asia/Dhaka
  • কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও হিন্দুত্ববাদী বিজেপি’র সিনিয়র নেতা গিরিরাজ সিং।
    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও হিন্দুত্ববাদী বিজেপি’র সিনিয়র নেতা গিরিরাজ সিং।

ভারতের বিহারে বেআইনি মাদ্রাসা ও মসজিদ রয়েছে অভিযোগ করে এসবের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও হিন্দুত্ববাদী বিজেপি’র সিনিয়র নেতা গিরিরাজ সিং।

তার দাবি- বিহারে অবৈধভাবে নির্মিত মাদ্রাসা ও মসজিদের বন্যা বয়ে গেছে। বিহারের সাথে বাংলাদেশ ও নেপালের সীমান্ত রয়েছে এবং এসব সেখানে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক।

গতকাল (শুক্রবার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় গিরিরাজ সিং রাজ্য সরকারকে টার্গেট করে বলেন, এটা শুধু বিহার নয় দেশের জন্যও হুমকি হয়ে উঠছে। সরকারকে (নীতীশ কুমার সরকার) সময় থাকতে এ নিয়ে ভাবতে হবে। বিহার ও দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে। তিনি বলেন, বিহার সরকারের উচিত অবিলম্বে মাদ্রাসাগুলো নিষিদ্ধ করা। সীমাঞ্চলের অবস্থা দেখে মনে হয় ধর্ম বা সম্পদ কোনোটাই রক্ষা হবে না। বিহারে প্রায় ৩ হাজার মাদ্রাসা রয়েছে, সবগুলোর তদন্ত করা উচিত এবং ধর্মীয় মগজ ধোলাইয়ের পরিবর্তে এসব জায়গায় প্রগতিশীল শিক্ষা দেওয়া উচিত।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জেডিইউ নেতা নীতিশ কুমার এবং রাজ্য সরকারের শরিক দল আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবকে টার্গেট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির সিনিয়র নেতা গিরিরাজ সিং বলেন, 'ভোটের লোভে নীতীশজি অনেক কিছু করেছেন। এখন বিহার এবং দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হুমকি বিবেচনা করুন। তা না হলে আগামী ২০ বছরে বিহারের মানুষের সম্পদ ও ধর্মও হুমকির মুখে পড়বে। এবং এ জন্য নীতিশ কুমার ও লালু যাদব দোষী হবেন বলেও মন্তব্য করেন বিজেপির সিনিয়র নেতা গিরিরাজ সিং।  

পাল্টা জবাবে জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেছেন, গিরিরাজ সিংয়ের সীমাঞ্চলে জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য জরিপ প্রতিবেদন পড়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, মাদ্রাসার চেয়ে তিনি (গিরিরাজ) গাছ-গাছালি নিয়ে বেশি চিন্তা করলে ভালো হতো। মাদ্রাসার নিজস্ব একটা ইতিহাস আছে। অবৈধ মাদ্রাসা কাকে বলে? মাদ্রাসাগুলো হয় ভর্তুকিপ্রাপ্ত অথবা জনগণের তাদের নিজস্ব পর্যায়ে পরিচালিত হয় বলেও মন্তব্য করেছেন জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার।  

রাজ্যের ভবন নির্মাণমন্ত্রী ও জেডিইউ নেতা অশোক চৌধুরী বিজেপি নেতা  গিরিরাজ সিংয়ের সমালোচনা করে বলেছেন, রাজ্যে  নীতীশ কুমার যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন ১২ শতাংশ শিশু স্কুলের বাইরে ছিল। আজ তাদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। গিরিরাজ সিং হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করেন। বিশ্ব আজ কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে। ভালোবাসা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই লোকগুলো নির্বাচনে হেরে যাচ্ছে। ওরা কাজ তো কিছুই করেননি, সেজন্য মাদ্রাসা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তালিকা দিন সরকারকে। অবৈধ স্কুলের তালিকাও দিন, কেবল মাদ্রাসা কেন? ভালোবাসা বাড়ান, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান, উন্নয়নের কথা বলুন। বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে কথা বলুন, প্যাকেজের কথা বলুন। অর্থ কত দিচ্ছেন সেই বিষয়ে কথা বলুন, বলেও মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী অশোক চৌধুরী।

ওই ইস্যুতে কংগ্রেস এমপি ইমরান প্রতাপগড়ি বলেছেন, বিজেপির উচিত গিরিরাজ সিংয়ের ঠোঁটে ফেভিকুইক লাগানো, যাতে গিরিরাজ সিং টিভিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য ভিত্তিহীন বিবৃতি দিতে না পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজেপির কাছে রয়েছে, কয়েক বছর ধরে মন্ত্রণালয় মাদ্রাসাগুলোর তদন্ত করছে। বিজেপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানানো উচিত তারা কী পেল, যারা বারবার মাদ্রাসা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বলেও মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস এমপি ইমরান প্রতাপগড়ি। #   

পার্সটুডে/এমএএইচ/এমবিএ/২    

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।   

   

 

ট্যাগ