দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ১৬ দলের ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভ প্রদর্শন
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (‘I.N.D.I.A) জোটের ১৬ টি দলের ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মিছিল করেছে। তারা জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিলসহ বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে।
আজ (শুক্রবার) দিল্লির যন্তর মন্তরে ওই কর্মসূচিতে ছাত্র সংগঠন AISA, SFI, AISF, PSU, NSUI-সহ বিভিন ছাত্র সংগঠনের সদস্য-সমর্থকরা শামিল হন। ছাত্রদের অভিযোগ- বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বহুবার সার্বজনিক শিক্ষার বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তাদের একমাত্র লক্ষ্য সরকারি শিক্ষাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষার একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যা অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করবে। ছাত্র সংগঠন ‘এসএফআই’ এ ধরণের মতাদর্শকে শিক্ষা বিরোধী এবং ভারতীয় শিক্ষার সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে বলে মনে করে।
এসএফআইয়ের নেত্রী ঐশী ঘোষ আজ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শিক্ষাকে বাঁচাতে আমাদের মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই। আমরা মনে করি এ সময়ে শিক্ষার উপরে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ হচ্ছে।
ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার তার নীতির মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আক্রমণ করেছে। ছাত্র সংগঠনগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষার তহবিল কমানোসহ ছাত্র বৃত্তিও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং শিক্ষা খাতে বার্ষিক ব্যয়ের বাজেট ক্রমাগত কমছে বলে অভিযোগ করেছে।
এ প্রসঙ্গে এসএফআই-এর সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাসের অভিযোগ- মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথম দিন থেকেই শিক্ষাকে 'এক নম্বর শত্রু' হিসেবে টার্গেট করেছে। প্রত্যেকদিন শিক্ষায় কমেছে বাজেটে ব্যয় বরাদ্দ। সামাজিক অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া তফসিলি জাতি, উপজাতি, আদিবাসী, ওবিসি ছাত্রদের জন্য প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপ প্রায় বন্ধই করে দিয়েছে। সংখ্যালঘুদের জন্য মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপ (এমএএনএফ) স্কলারশিপের ব্যয় বরাদ্দ বন্ধ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপ উচ্চ শিক্ষার জন্য মুসলিম, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রিস্টান, পার্সি সম্প্রদায়ের মেধাবি ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা পেয়ে থাকেন। তারা এমফিল ও পিএইচডি’র ক্ষেত্রে এই বৃত্তি পেতেন। সাচার কমিটির সুপারিশ মেনে ২০০৬ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ সরকার দেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের নামে এই বৃত্তি চালু করেছিল। কিন্তু, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিভিন্ন মহলে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমএআর/১২