ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হবেন ম্যাকরন, পৌঁছলেন জয়পুরে
-
নরেন্দ্র মোদি ও ইমানুয়েল ম্যাকরন
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন ভারতে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের অংশ হিসেবে আজ রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর পৌঁছেছেন। রাজস্থানের রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্র, মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিমান বন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
ম্যাকরন আগামীকাল (শুক্রবার) দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের প্রধান অতিথি। ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ সময়ে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিচ্ছন্ন শক্তি এবং ভারতীয় ছাত্র ও পেশাজীবীদের নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ম্যাকরনের এই সফর এমন সময়ে হচ্ছে যখন দু’দেশের মধ্যে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ২৬টি রাফায়েল-এম (মেরিন ভার্সন) যুদ্ধবিমান এবং তিনটি ফরাসি ডিজাইনের স্করপেন সাবমেরিনের চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং উভয় দেশের কর্মকর্তারা চুক্তি চূড়ান্ত করার কথা ভাবছেন।
আজ রাজস্থানের অম্বর দুর্গে স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে স্বাগত জানায়। এ সময় ম্যাকরন এসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দিয়া কুমারী।
জানা গেছে, ম্যাকরন ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াদিল্লির ‘কর্তব্যপথে’ কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি নয়াদিল্লি-প্যারিস দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। গত জুলাইতে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফ্রান্সের জাতীয় দিবস অর্থাৎ বাস্তিল দিবসের উদ্যাপন অনুষ্ঠানের বিদেশি অতিথি হিসেবে ছিলেন তিনি। এ বার ম্যাক্রো এলেন ভারতের ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হয়ে।
কূটনৈতিক মহলের মতে কাশ্মীর সমস্যা, পরমাণু পরীক্ষা বিতর্ক বা চীনের সঙ্গে সংঘাতের মতো অনেক পরিস্থিতিতে বহু দশক ধরেই ফ্রান্সকে পাশে পেয়েছে ভারত। জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের সমর্থনে ফ্রান্সই প্রথম এগিয়ে এসেছিল। তা ছাড়া ১৯৭৪ এবং ১৯৯৮— এই দু’বছরে ভারতের পরমাণু শক্তি পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ পশ্চিমি দেশগুলো যখন নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাতে যোগ দেয়নি ফ্রান্স। ২০২০ সালে চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের সময় ফ্রান্সই প্রথম ভারতকে সামরিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিল। ম্যাক্রোর দু’দিনের ভারত সফরে উভয় দেশের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধন আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/এমএআর/২৫