ভারতীয় রাজনীতিতে মুসলমানদের প্রান্তিক করে রাখা হয়েছে : ওয়াইসি
ভারতের রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদী মুসলমানদের প্রান্তিক করে রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি।
গতকাল (রোববার) মহারাষ্ট্রে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়ে তিনি ওই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমি সংসদে যা বলেছিলাম তা পুনরাবৃত্তি করছি যে, হিটলারের আমলে ইহুদিরা যেমন অনুভব করেছিল ভারতের মুসলমানরা ঠিক একই রকম অনুভব করছে। ওয়াইসি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষ থেকে খাজা আজমেরীর (রহ) দরগাহে চাদর পাঠানো হয়, কিন্তু খাজা আজমেরীর জন্য এ কেমন ভালোবাসা যে আপনি মসজিদকে আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চান! এ কেমন ভালোবাসা যে আপনি দরগাহে চাদর দিয়ে ঢেকে দেবেন কিন্তু আমাদের মেয়েদের মাথা থেকে হিজাব ছিনিয়ে নেওয়া হবে! এটা কী ধরনের ভালোবাসা যে আমাদের কাছ থেকে মসজিদ ছিনিয়ে নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
ওয়াইসি বলেন, দিল্লিতে ৫০০ বছরের পুরনো একটি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে বিনা নোটিশে। ৬০০বছরের পুরনো মসজিদ ও কবরস্থানও শহীদ করা হয়েছে। আমরা জানতে চাই, বিজেপি এ দেশে কী করতে চায়? নরেন্দ্র মোদী যখন থেকে এদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন থেকে তার সরকারের একটি তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে ১ লাখ ৮০ হাজার মুসলিম উচ্চশিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত নয়।
তিনি বলেন, ধর্মের অধিকার ভারতের সংবিধানের একটি অধিকার এবং বিজেপি এবং আরএসএস চায় এটি আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হোক। আজ যদি নরেন্দ্র মোদী জয়ী হন, তা মুসলমানদের কারণে নয়, তিনি হিন্দু হৃদয় সম্রাটের ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন। তিনি সব সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। ভারতের রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদী মুসলমানদের প্রান্তিক করে রেখেছেন। ভারতের রাজনীতিতে আপনাদের চিহ্ন কোথায় বলুন?
ওয়াইসি বলেন, সংসদে এবং মহারাষ্ট্র বিধানসভায় একজন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এবং ইমতিয়াজ জলিল নয়, ৫০ জন ওয়াইসি এবং জলিল থাকা উচিত। আপনারা সবাই সমাবেশে আসেন কিন্তু যখন ভোট দেওয়ার সময় আসে তখন আপনাদের মনে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ভরে যায়। আমি সংবিধানে লেখা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি, কিন্তু আপনারা রাজনৈতিক ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করবেন না। কী পেলেন আপনারা? ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মেহরাউলিতে মসজিদ হারিয়েছেন। একটি মসজিদ চলে গেছে, আল্লাহ না করুন অনেক মসজিদ যেতে পারে। তিনি মহারাষ্ট্রের অকোলার জনগণকে লোকসভায় কমপক্ষে ৪ জন ‘মিম’ প্রার্থীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ওয়াইসির ঘোষণার পরে মহারাষ্ট্রের ধুলে, নান্দেদ, ভিওয়ান্ডি এবং ছত্রপতি সম্ভাজিনগর আসনে ‘মিম’ তাদের প্রার্থী দিতে পারে বলে জল্পনা চলছে। এর মধ্যে ছত্রপতি সম্ভাজিনগর আসন (আগের আওরঙ্গাবাদ) বর্তমানে ‘মিম’-এর দখলে রয়েছে।২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইমতিয়াজ জলিল এই আসনে জিতেছিলেন।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/জিএআর/১৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।