ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪ ১৯:২৮ Asia/Dhaka
  • মেঘালয়ে ইনার লাইন পারমিট ব্যবস্থার দাবি মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার

ভারতের মেঘালয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (ক্যা) কার্যকর হলে রাজ্যে বিদেশি নাগরিকরা ছড়িয়ে পড়তে পারে আশঙ্কা করে রাজ্যে ইনার লাইন পারমিট ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।

সম্প্রতি ‘ক্যা’ আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, যদি রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (ক্যা) কার্যকর হয় তাহলে উত্তরপূর্বের অন্যান্য রাজ্য থেকে অবৈধ প্রব্রজন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা প্রতিরোধের জন্যই ইনার লাইন পারমিট ব্যবস্থা চালু হওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে প্রায় ৪০০ কিলোমিটারের বেশি সীমানা রয়েছে। তাই ‘ক্যা’ কার্যকর হওয়া নিয়ে বিরোধিতার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলি এলাকা থেকে এই আইনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে মেঘালয়ের অধিকাংশ এলাকায় ‘ক্যা’ কার্যকর হবে না। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন খসড়া আকারে আসার সময়ে আমরা ওই ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে তা কার্যকর না করার দাবি জানানো হয়েছিল। পরে খসড়া সংশোধন করে মেঘালয়কে ‘ক্যা’র আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত অসম, মেঘালয়, মিজোরাম এবং ত্রিপুরার উপজাতীয় এলাকায় এই আইনের বিধান প্রযোজ্য হবে না।

মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে আইএলপি সম্প্রসারণের জন্য রাজ্য বিধানসভায় পাস করা একটি প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মেঘালয় বিধানসভা রাজ্যে আইএলপি জারি করার জন্য একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। প্রসঙ্গত, আইএলপি হল একটি বিশেষ অনুমতি যা অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং মণিপুর রাজ্যে প্রবেশের জন্য ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে বহিরাগতদের জন্য প্রয়োজন হয়।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ/ক্যা তৈরি করেছে। কিন্তু এতদিনেও তার বিধি তৈরি না হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রী খুব শিগগিরি ওই আইন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন। বিতর্কিত ওই আইনে ‘মুসলিমদের বাদ’ দিয়ে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/জিএআর/২২ 

ট্যাগ