মে ০৪, ২০২৪ ১৭:৫৭ Asia/Dhaka
  • কংগ্রেস প্রেমপত্র পাঠাত, নতুন ভারত ঘরে ঢুকে মারে’, গর্জন মোদির

কংগ্রেস যখন সরকারে ছিল, তখন তারা পাকিস্তানকে ‘প্রেমপত্র’ পাঠাত শান্তির আশায়। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ সেই চিঠির জবাবে আরও বেশি করে সন্ত্রাসবাদী পাঠাত ভারতে। ২০১৪ সালের পর পরিস্থিতি বদলেছে। এখন ভারত ‘ঘর মে ঘুসকে মারতা হ্যায়।’ এভাবেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।

এক জনসভায় ফের ‘পাকিস্তান’ ইস্যুতে হাতশিবিরকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। দাবি করলেন, আগের সরকারের নরম নীতিতে ইসলামাবাদ জঙ্গিদের আরও বেশি করে প্রশ্রয় দিয়েছে।

ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? ঝাড়খণ্ডের পালামৌতে এক জনসভা করতে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”আগে জঙ্গিরা অবাধে মানুষ মারত আর সরকার পাকিস্তানকে প্রেমপত্র লিখত। কিন্তু পাকিস্তান সেই সব চিঠির উত্তরে আরও বেশি করে জঙ্গি পাঠাত। কিন্তু আপনাদের একটি ভোটের জোরে, আমি বললাম যথেষ্ট হয়েছে। আজকের নতুন ভারত কোনও ডসিয়ার পাঠায় না। এটা নতুন ভারত। ঘর মে ঘুস কে মারতা হ্যায়।”

সেই সঙ্গে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। বলেন, ”সার্জিক্যাল ও বালাকোট স্ট্রাইক পাকিস্তানকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আজ পাকিস্তান সারা দুনিয়া জুড়ে কেঁদে বেড়ায় ‘বাঁচাও বাঁচাও’ করে। পাকিস্তানের নেতারা প্রার্থনা করছেন কংগ্রেসের শাহজাদা যেন প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু শক্তিশালী ভারতের আজ এক শক্তিশালী সরকারই দরকার।”

সম্প্রতি পাকিস্তানেরই প্রাক্তন মন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরী লিখেছেন, ‘রাহুল গান্ধীর গর্জন।’ পাক মন্ত্রীর ওই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপি রাহুল তথা কংগ্রেসকে ফের পাকিস্তানপন্থী বলে দেগে দেওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। সেই মেজাজ বজায় রেখেই এদিন আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে দেখা গেল মোদিকে।

 

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ