‘আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে অনুপ্রবেশকারীদেরকে বহিষ্কার করা হবে’
(last modified Thu, 10 Oct 2019 10:40:01 GMT )
অক্টোবর ১০, ২০১৯ ১৬:৪০ Asia/Dhaka
  • অমিত শাহ
    অমিত শাহ

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে সমস্ত অনুপ্রবেশকারীকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। গতকাল (বুধবার) হরিয়ানায় এক নির্বাচনি সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় তিনি ওই মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে, আজ (বৃহস্পতিবার) মহারাষ্ট্রে এক নির্বাচনি সমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় অমিত শাহ বলেন, মোদি সরকার কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা উপড়ে ফেলেছে। গোটা বিশ্ব ওই ইস্যুতে আমাদের পাশে আছে।

আগামী ২১ অক্টোবর হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হবে। ফল ঘোষণা হবে ২৪ অক্টোবর। 

আজ মহারাষ্ট্রে অমিত শাহ বলেন, ‘কংগ্রেস ও এনসিপি ৩৭০ ধারা নিয়ে ভোটব্যাংকের রাজনীতির স্বার্থে বিরোধিতা করেছে। ৩৭০ ধারা অপসারণ করে যেখানে আমরা দেশকে সংহত করেছি তখন কংগ্রেস ও এনসিপি তার বিরোধিতা করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশকে সুরক্ষিত করেছেন।’ যদি আমাদের একজনও জওয়ান শহীদ হয় তাহলে আমরা শত্রুদের দশ জনকে হত্যা করব বলেও অমিত শাহ হুঁশিয়ারি দেন।

অন্যদিকে, হরিয়ানার সমাবেশে অমিত শাহ অনুপ্রবেশ ইস্যুর পাশাপাশি জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল ও ফ্রান্স থেকে রাফায়েল যুদ্ধবিমান ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ২০২৪ সালে আপনাদের কাছ থেকে ভোট চাইতে আসব, তার আগে আমি বলতে চাই যে ততক্ষণে আমরা দেশ থেকে প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দেবো।’

অমিত শাহ বলেন, ‘গত ৭০ বছর ধরে দেশে অনুপ্রবেশকারীরা দেশের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। এনআরসি কার্যকর করে দেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করা হবে। এ ব্যাপারে বিজেপি ও মোদীজি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

অমিত শাহ বিরোধীদল কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেন, ‘কংগ্রেসকে জিজ্ঞেস করা উচিত কেন তারা তিন তালাক বিরোধী বিলের বিরোধিতা করেছিল এবং কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা অপসারণের বিরোধিতা করেছিল? তারা কেন এনআরসির বিরোধিতা করেছেন?’

তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী ৩৭০ ধারা বাতিল করার বিরোধিতা করেছিলেন। পূর্ববর্তী কোনও সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করার সাহস দেখায়নি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে সংসদের প্রথম অধিবেশনেই এটি করে দেখিয়েছে বলেও অমিত শাহ মন্তব্য করেন। 

ড. ইমানুল হক

অমিত শাহর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের ‘ভাষা ও চেতনা সমিতি’র সম্পাদক ও কোলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমানুল হক আজ (বৃহস্পতিবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘উনি কত বড় মিথ্যাবাদী সেটা বোঝা যায়। গোটা বিশ্ব যে পাশে নেই তার প্রমাণ হচ্ছে এটাই জাতিসঙ্ঘে একাধিকবার কাশ্মীর ইস্যু উঠেছে। বিভিন্ন দেশের নেতারা কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুলেছেন। যেটা অতীতে কখনও ঘটেনি। ১৯৫১ সালের পরে এই ঘটনা ঘটেনি।

ড. ইমানুল হক আরও বলেন. উনি (অমিত শাহ) অসমে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে ছাড়বেন বলেছিলেন। কী করবেন এনআরসি থেকে নাম বাদ যাওয়া ১৯ লাখ মানুষকে? এখন তো উনি ওই ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বলেছিলেন, আমরা নাগরিকত্ব আইন পাস করব। লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করলেও রাজ্যসভায় তা পেশ করেননি। উনি চাচ্ছেন যে একটা মেরুকরণের চেষ্টা করে নির্বাচনে জিততে।’ #  

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ