করোনা পরিস্থিতি: ভারত ও শ্রীলঙ্কায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল
(last modified Fri, 01 May 2020 19:06:38 GMT )
মে ০২, ২০২০ ০১:০৬ Asia/Dhaka
  • করোনাজনিত লকডাউনের পক্ষে ভারতের চেন্নাইয়ের রাস্তায় প্রচারণা
    করোনাজনিত লকডাউনের পক্ষে ভারতের চেন্নাইয়ের রাস্তায় প্রচারণা

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলায় চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়েছে ভারত। আগামী ৩ মে লকডাউন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা ১৭ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আজ (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে পর্যালোচনা হয়। তার পরে সন্ধ্যা নাগাদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়। 

বিবৃতি বলা হয়েছে, লকডাউনের মধ্যে সারা দেশেই গণপরিবহন, স্কুল-কলেজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। হোটেল-রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল, শপিং মলও খোলা যাবে না। কোনও ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় সমাবেশ করা যাবে না। বন্ধ থাকবে ধর্মীয় স্থানগুলিও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনও কাজে সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।

করোনাজনিত লকডাউনের পক্ষে ভারতের চেন্নাইয়ে পুলিশের ব্যতিক্রমী প্রচারণা

খবরে আরও বলা হয়েছে, মেয়াদ বাড়ানো হলেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করতে লকডাউনের এই তৃতীয় পর্যায়ে কড়াকড়ি অনেকটা শিথিলও করা হয়েছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ওপরে ভিত্তি করে যে তিনটি জোন বা ক্ষেত্রে ভাগ করা হয়েছে, শিথিলতাও সেই এলাকাভিত্তিকই হবে। যে এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষিত হয়েছে, সেগুলেো চারদিক দিয়ে সিল করতে হবে। শুধুমাত্র চিকিৎসা আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহের জন্য সিল করা এলাকা থেকে বেরনো বা প্রবেশ করা যাবে। বাকি সবধরণের কর্মকাণ্ড বন্ধই থাকবে ওই এলাকায়।

গ্রিন জোনে সীমিত আকারে ই-কমার্স, যান চলাচল এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ড করা যাবে। অরেঞ্জ জোনে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রতি গাড়িতে দুই জন করে চলাচল করতে পারবেন। কিন্তু, নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত রেড জোনে সকল ধরনের কর্মকান্ড, যান চলাচল এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ওই অঞ্চলের অধিবাসীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে বলা হয়েছে।

ভারতে শুক্রবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৪৩ জন, মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ১৫৪ জনের এবং চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৬৮ জন।

শ্রীলঙ্কার জীবানুনাশক ছিটানো হচ্ছে

এদিকে, শ্রীলঙ্কাতে ৪ মে থেকে লকডাউন প্রত্যাহার ও পর্যায়ক্রমে সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রেক্ষাপটে ১১ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী- গত ১৫ এপ্রিল শ্রীলঙ্কাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৬৮ জন। তবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬৩ জনে। এমন বাস্তবতায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ করে।#

 

 

 

ট্যাগ